নগরীর খালিশপুর থানার মুজগুন্নি এলাকায় মোল্লা জুলকার নাঈম ওরফে মুন্না (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেছে। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে স্থানীয় ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত জুলকার নাঈম ওরফে মারজান আহমেদ ওরফে মুন্না দিঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের মৃত মোশারফ মোল্লার ছেলে। তিনি সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত সেনহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আব্দুল হালিম হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই যুবক ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব সংলগ্ন রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তখন একটি মোটর সাইকেলে দু’জন আততায়ী এসে তার মাথা লক্ষ করে কয়েকটি গুলি করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মুহূর্তেই তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। আশ-পাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনাস্থল নিহতের রক্তে রঞ্জিত ছিল। গুলির খোসা ও নিহতের ব্যবহৃত চশমা পড়ে ছিল। থানা পুলিশ, ডিবি ও র্যাব সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। আলামত সংগ্রহসহ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের সন্ধানে পুলিশের কার্যক্রম চলছিল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মরদেহ খুমেক হাসপাতালের মর্গে ছিল।
নিহত মুন্না (৩৮) দীঘলিয়া উপজেলার সুগন্ধী গ্রামের সোহরাব মোল্যার ছেলে। সে সেনহাটি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ছিল।
মুন্না গত এক বছর ধরে নগরীর মুজগুন্নী কাজী বাড়ি নানা বাড়িতে থাকত। নিহতের মামা রিয়াজ বলেন, সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয় সে। রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আবার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ওই সময়ে মুজগুন্নী বাসস্ট্যান্ডের সামনে পৌছালে সামনে থেকে আসা দু’জন যুবক খুব কাছ থেকে গুলি করে। এ সময় একটি গুলি তার বাম চোয়ালে লাগে। ঘটনাস্থলে সে লুটিয়ে পড়ে। এরপর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য পরপর দুইটি গুলি ছোড়ে। মৃত্যু নিশ্চিত করে দুবৃত্তরা মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়।
রাত ১০ টার দিকে খালিশপুর থানার ওসি বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা চলছে।