সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা মঙ্গলবার , ১২ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২৫শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
নগরীর ময়ূর ও হাতিয়া নদী খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি | চ্যানেল খুলনা

পুনরায় ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে

নগরীর ময়ূর ও হাতিয়া নদী খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি

চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃদুই পাশে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়, মাঝখানে পানি শূন্য উঁচু সমতল ভূমিতে শুকিয়ে পড়েছে কচুরিপনা, কোথাও কোথাও জন্মেছে সবুজ ঘাস ও লতা-পাতা। সুবিধাজনক স্থানে পথ বানিয়ে স্যান্ডেল পায়ে পারাপার হচ্ছেন জনসাধারণ। জলাবদ্ধতা নিরসনে মাত্র তিন বছর আগে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ময়ূরী ও হাতিয়া নদীর ১২ কিলোমিটার খনন হলেও বর্তমান চিত্র এটি। এ অবস্থায় জলাবদ্ধতা নিরসনে নদী দু’টি খননের যে আসল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তা ভেস্তে গেছে।
কেসিসি সূত্রে জানা গেছে, মহানগরী খুলনার গুরুত্বপূর্ণ সাতটি ড্রেনের মুখ ময়ূর ও হাতিয়া এই দুই নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ বছর সংস্কার না হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ময়ূর নদ ও হাতিয়া নদী ভরাট হয়ে যায়। কোন কোন স্থানে নদী দখলেরও ঘটনা ঘটে। সঙ্গত কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। চরম দুর্ভোগে পড়ে জনসাধারণ। তাই এ অবস্থার উত্তরণে সিটি কর্পোরেশন নগর উন্নয়ন প্রকল্পে নদী দু’টির তলদেশের পলি ও ময়লা অপসারণসহ জোয়ার-ভাটা নিশ্চিতকরণের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়। বিশেষ করে কেসিসি’র সিআরডিপি (নগর উন্নয়ন প্রকল্পে)”র আওতায় দুই নদীর অন্তত ১১.৬৬ কিলোমিটার খননে প্রকল্প গ্রহন করে। এডিবির অর্থায়নে খনন কাজের ব্যয় ধরা হয় ১৪ কোটি ৫২ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর এই খনন কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। একই বছর ১৩ ডিসেম্বর ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল (জেবি) ও কামরুল এন্টারপ্রাইজ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। কাজের প্রথম পর্যায়ে শ্মশান ঘাট এলাকায় পানি কম থাকায় ম্যানুয়ালি নদী খনন শুরু হয়। কিন্তু ম্যানুয়াল ব্যবস্থা পাল্টে নদীর গভীরতম স্থানে ১২টি সেমি ড্রেজার ব্যবহার করে এ খনন কাজ চালানো হয়। ২০১৬ সালে এ খনন কাজ শেষ হয়। কিন্তু কাজে অনিয়ম হওয়ায় প্রকল্পের সফলতা নিয়ে তখনই প্রশ্ন দেখা দেয়।
সরেজমিনে গতকাল শুক্রবার দেখা গেছে, গল্লামারী ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় দুইপাশে যত্রতত্র পলিথিনসহ গৃহস্থরীর ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। পানি শূন্য নদীর বুকে শুকিয়ে লাল হয়ে পড়ে রয়েছে শুকনা কচুরিপনা, কোথাও কোথাও জন্ম নিয়েছে সবুজ ঘাস। শক্ত ও উঁচু নদীর বুকে স্যান্ডেল পায়ে পারাপার হচ্ছে জনসাধারণ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদী দু’টিতে নামমাত্র খনন করা হয়েছে। খননের নামে শুধুমাত্র পানি পরিষ্কার করা হয়। নদী থেকে উত্তোলন করা পানিতে তেমন কোন মাটির অস্তিত্ব ছিল না বা পর্যাপ্ত পরিমাণ মাটি জমা হতে দেখা যায়নি। তবে কিছু পলিথিন উঠিয়ে নদীর দু’পাশে রাখা হয়েছিলো। তারা বলেন, সেমি ড্রেজার দিয়ে কোন ভাবেই নদীর তলদেশের মাটি খনন করা সম্ভব না। ফলে যে অবস্থা ছিলো তাই থেকে গেছে। ফলে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ বিফলে গেছে। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে নদী খনন করা উচিত ছিলো।
সুজনের জেলা সম্পাদক কুদরত-ই-খুদা বলেন, ভরাট হওয়া নদী দু’টির পলি ও ময়লা অপসারণ করার কথা থাকলেও ড্রেজারের মাধ্যমে শুধুমাত্র পানি অপসারণ করা হয়। লোক দেখানো খননে কচুরীপনার শেকড়সহ মাটি পানির নিচেই রয়ে গেছে। এছাড়া খননে যা উঠানো হয়েছিলো রোদ ও বৃষ্টিতে তা ফের নদীতে গিয়ে পড়েছে। ফলে দ্রুতই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক  বলেন, ময়ূর ও হাতিয়া নদীর খনন কাজ এস্টিমেট অনুযায়ী হয়নি। বড় ধরনের পুকুর চুরি হয়েছে। খনন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় এ দুর্দশার সৃষ্টি হয়েছে। তাই দুদকের উচিত এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।
উল্লেখ্য নেদারল্যান্ড ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ অর্থায়নে ময়ূরী নদকে ঘিরে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ময়ূর নদ খননসহ প্রটেকশন ওয়াল, ওয়াকওয়ে, উন্মুক্ত স্থান ও ব্রীজ নির্মাণ করা হবে।

https://channelkhulna.tv/

সংবাদ প্রতিদিন আরও সংবাদ

আমিরাত থেকে ফিরলেন ক্ষমা পাওয়া আরও ২৭ জন

ঢাকা মেডিকেল থেকে ‘ভুয়া নারী চিকিৎসক’ আটক

সাবেক আইজিপি ও কেএমপি কমিশনারসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

আদালত চত্বরে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রের ওপর ডিম নিক্ষেপ

আমির হোসেন আমু গ্রেপ্তার

কাকরাইল মসজিদে সাদপন্থিদের ঢুকতে দেওয়া হবে না তাবলিগ জামাত

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।