চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা-চুকনগর-সাতক্ষীরা মহাসড়কের শহরাংশ অর্থাৎ শের-এ বাংলা রোড চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কাজ এপ্রিলে শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এ প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া। তবে সংশ্লি¬ষ্টরা বলছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্বল্প সময়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে, যানজট ও দুর্ঘটনা কমে আসবে এবং নগরীর সৌন্দর্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর মধ্যে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ব্যস্থতম ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শের-এ বাংলা রোড। খুলনা-সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মোংলা, কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা ও দেবহাটা রুটের যাত্রী সাধারণ এ সড়ক দিয়ে শহরে প্রবেশ ও বাইরে যায়। ফলে এসব যাত্রীদের যাতায়তে প্রতিদিন অসংখ্য রিকশা, ইজিবাইক ও ভ্যান চলাচলের ভীড়ে বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে গল্ল¬ামারী ও জিরোপয়েন্ট এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়সহ সরকারি- বেসরকারি অফিস, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক এলাকা গড়ে উঠায় শহর সম্প্রসারিত হচ্ছে। আর ওই সম্প্রসারিত অঞ্চলে বসবাসকারীদেরও প্রতিনিয়ত এ সড়ক ব্যবহার করতে হয়। ফলে সড়কটির ব্যস্থতা বহু গুনে বেড়ে যাওয়ায় প্রায়শই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ অবস্থায় সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণ সময়ের ও খুলনাবাসীর প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়।
জানা গেছে, এ দাবির প্রেক্ষিতে গত বছর ডিসেম্বরে ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোপোজল (ডিপিপি) গঠন করে ঢাকাস্থ সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। প্রকল্পে ৪ কিলোমিটার সড়ক ৭২ ফুট প্রশস্থ করণ, ভূমি অধিগ্রহণ, ডিভাইডার, পথচারীদের হাটার জন্য ফুটপথ ও পয়ঃনিষ্কাশণের জন্য ড্রেন নির্মাণ ইত্যাদি উলে¬খ্য করা হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুজ্জামান মাসুদ বলেন, প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন মিলেছে। যার বাস্তবায়নে খরচ ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। এপ্রিল মাসে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন কাজ শুরু হবে।
তিনি আরও বলেন, সড়কের দু’পাশে পর্যাপ্ত জমি রয়েছে। সামান্য জমি অধিগ্রহন করা লাগবে। এছাড়া এ সড়ক নির্মাণে কোন ভবণ ভাঙারও প্রয়োজন পড়ছে না। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা কম। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্বল্প সময়ে মানুষ যাতায়াত করতে পারবে, যানজট ও দুর্ঘটনা কমে আসবে, যাতায়াত ঝুঁকিমুক্ত হবে, খরচে ও রাস্তার ক্ষয়ক্ষতি কমবে এবং নগরীর শ্রীবৃদ্ধি হবে।