বুধবার দুপুর ১২ টায় খুলনা শেরে বাংলা রোডের সোনাপোতা স্কুল প্রাংগনে রাখাল ফাউন্ডেশনের শেখ মনিরুজ্জামান এলুর সহযোগিতায় এবং গ্লোবাল খুলনার উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সোনাপোতা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথারের সভাপতিত্বে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাহেব আলীর সঞ্চালনায় আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক শাহ মামুনুর রহমান তুহিন, বিশেষ অতিথি এবং আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফারুক, রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ক্লাবের সহকারী গভর্নর রোটারিয়ান আল জামাল ভূইয়া, কেসিসির রোটারিয়ান সরদার আবু তাহের, বিশিষ্ট সমাজসেবক মোড়ল আব্দুস সবুর, দৈনিক জন্মভূমির বার্তা সম্পাদক মোঃ সোহরাব হোসেন, দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ ও রাইজিং বিডি’র খুলনা প্রতিনিধি মুহাম্মাদ নুরুজ্জামান, দৈনিক বাংলা সময়ের খুলনা ব্যুরো প্রধান ও দৈনিক তথ্যের স্টাফ রিপোর্টার হাসানুর রহমান তানজির, শাহ মাহরুজ রাইয়্যান সহ স্কুলের সকল সম্মানিত শিক্ষক ও শিক্ষিকা মন্ডলী।
গ্লোবাল খুলনার আহবায়ক তার বক্তব্যে বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন, খুলনা শহরের গৃহস্থালী আবর্জনা ও মানব বর্জ ফেলার জায়গার কারণেই এই এলাকার নাম হয়েছিল, ময়লাপোতা। পাকিস্তান আমলে এখানে নর্তকীদের নিয়ে মনোরঞ্জনের স্থান বানানো হয়েছিল। কিন্তু ততকালীন স্থানীয় কিছু মানুষ প্রতিবাদী হয়ে এখানে স্কুল তৈরি করেন এবং জায়গার নাম ও পরিবর্তন করেন, সোনাপোতা নামে। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে, শুধু স্কুল ছাড়া বাকী এলাকা এখনো ময়লাপোতা নামেই রয়ে গেছে। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের মাধ্যমে অনুরোধ জানান, আধুনিকায়নের যুগে এ সমস্ত নাম গুলো পরিবর্তন করা উচিৎ। তাই এ বিষয়ে জনমত গড়ে তুলতে হবে। তিনি কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করেন, সেই সব প্রতিবাদী মানুষকে যাদের অবদানের কারণে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্ব মহিমায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই স্কুলের মান উন্নয়নের স্বার্থে এবং খুলনার শিক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করতে হলে, এ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নানামুখী সহযোগিতার মাধ্যমে টিকিয়ে রাখতে হবে। তাই সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি। এই প্রতিষ্ঠানের মাঠের চারিদিকে পরিকল্পনা মাফিক গাছ লাগানোর বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেন, এই করোনা মহামারীতে সবাই বুঝতে পেরেছে, অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা। অথচ আল্লাহ আমাদেরকে ২৪ ঘন্টা বিনামূল্যে অক্সিজেন সরবরাহ করে যাচ্ছেন, তাই আসুন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আমরা বেশি বেশি গাছ লাগাই। বৈশ্বিক উষ্ণতার এই যুগে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। তাই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিরাপদ রাখার স্বার্থে প্রতিটি মানুষকে গাছ লাগানোয় উদ্বুদ্ধ করতে হবে।