অনলাইন ডেস্কঃখুলনা ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্পের পানি সরবরাহ ইতোমধ্যে নগরীর ৩০ ও ৩১নং ওয়ার্ডে শেষ হয়েছে। বর্তমান ২৪, ২৭ ও ২৮নং ওয়ার্ডে সংযোগ প্রদানের লক্ষে ডিমান্ড নোটিশ প্রদান ও মিটার স্থাপন কাজ চলছে। নগরবাসীর সুপেয় পানির চাহিদা মেটাতে আড়াই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচলক মোঃ আব্দুল্লাহ পিইঞ্জ ও ব্যবস্থাপক খান সেলিম আহমেদ বলেন, খুলনা পানি সরবারহ নামের এ প্রকল্পটি ২০১১ সালের ২৭ জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন মেলে। অনুমোদনের পর এডিবি’র অর্থায়নে ইতোমধ্যে ৩টি ইন্টারন্যাশনাল কন্ট্রাক বিডি-আইসিবি প্যাকেজ ও ২টি ন্যাশনাল কন্ট্রাক বিডি-এনসিবি প্যাকেজ ৭টি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার এবং ১০টি ওভারহেড ট্যাংক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ১০টি ওভারহেড ট্যাংক ও ৭টি ডিস্ট্রিবিউশন রিজার্ভার নির্মাণের স্থানগুলো হচ্ছে চরেরহাট, লবণচরা, নতুন বাজার, ছোট বয়রা, রায়ের মহল, বয়রা হাউজিং এবং দেয়ানা। বাকি ৩টি ওভারহেড ট্যাংক হচ্ছে বানিয়াখামার, মিরেরডাঙ্গা এবং দৌলতপুরের পাবলা। এছাড়া ‘ক্লিয়ার ওয়াটার ট্রান্সমিশন মেইনস ইনক্লুডিং রিভার ক্রসিং’র মাধ্যমে রূপসার পানি শোধনাগার থেকে রূপসা নদীর তলদেশ হয়ে খুলনা শহরের বিভিন্ন স্থানে ৭টি রিজার্ভার পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানো হয়েছে। ‘ডিস্ট্রিবিউশন পাইপ নেটওয়ার্ক’র মাধ্যমে পাইপ লেয়িং’ কাজের আওতায় নগর এলাকায় বিভিন্ন ব্যাসের প্রায় ৬৫০ কিলোমিটার পাইপ লাইন বসানোও সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ইতোমধ্যেই নগরীর সাত নম্বর ঘাট এলাকায় রেলওয়ের জমিতে খুলনা ওয়াসার ১০ তলা ফাউন্ডেশন বিশিষ্ট (প্রথম পর্যায়ে ৬ তলা) প্রধান ভবন ও চার কোটি টাকা ব্যয়ে মহেশ্বরপাশা ও চরেরহাট এলাকায় ২টি জোনাল বিল্ডিং নির্মাণের কাজও সমাপ্ত হয়েছে। ঐসব ভবণে বর্তমান দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে।
তারা আরও বলেন, সর্বপরি এ প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে নগরীর ৩০ ও ৩১ নং ওয়ার্ডে পানি সরবারহ শেষ হয়েছে। ২৪,২৭ ও ২৮নং ওয়ার্ডে বর্তমানে সংযোগ প্রদানের লক্ষে ডিমান্ড নোটিশ প্রদান ও মিটার স্থাপন কাজ চলমান রয়েছে।
এরপর পর্যায়ক্রমে ছোট বয়রা, বয়রা, নতুন রাস্তা, চরের হাট, দেয়ানা, মিলেরডাঙ্গা ও রায়েরমহলে পর্যায়ক্রমে এ পানি সরবরাহ করা হবে। প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে টার্গেটকৃত ৪৫ হাজার বাড়িতে প্রতিদিন ১১ কোটি লিটার পানি সরবরাহ সম্ভব হবে।