চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনগরীর ৪নং ঘাটে খোলা ডিজেলের একটি দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় আশেপাশের কয়েকটি বাড়িও ভস্মীভূত হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার পরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট প্রায় ঘন্টা খানেক চেষ্টার পর অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাতের বিষয়টি তদন্ত করছে।
স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, রাত ১২টার পর ৪নং ঘাটের শাহাজান শিকদারের তেলের দোকান থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হলে আশেপাশের মানুষ এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। কিছু সময় পরেই ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে অগ্নিকান্ড নিয়ন্ত্রণে করে। অগ্নিকান্ডে তেলের দোকানসহ কয়েকটি বাড়ি ও জাতীয় ঘাট শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভস্মীভূত হয়। সূত্রটি আরও জানায়, সম্পূর্ণ অবৈধভাবে অনুমোদনহীন তেলের বিকিকিনি করা হত দোকান থেকে। পাশাপাশি দোকানের পাশে যারা ঘর-বাড়ি নির্মাণ করেছে তারাও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে দখল করে ছিল। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলের পাশ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ফার্ণেশ ওয়েলের ওয়াগান চলাচল করত।
খুলনা রেলওয়ের কানুনগো মোঃ মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থলে কোন বৈধ আবাসিকের অনুমতি নেই। যারা ছিল তারা সম্পূর্ণ অবৈধ।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ সাঈদুজ্জামান বলেন, তেলের দোকানের জন্য ফায়ার সার্ভিসের কোন অনুমোদন নেই। সুতরাং বুঝতে হবে বিস্ফোরক দ্রব্যেরও অনুমোদন নেই।
খুলনা সদর ওসি (তদন্ত) আসলাম বাহার বুলবুল সময়ের খবরকে বলেন, খোলা জায়গায় কোন অনুমোদন ছাড়াই কিভাবে তারা দীর্ঘদিন তেলের ব্যবসা করছিল বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, অগ্নিকান্ডে ২৭ ব্যারেলের মত ডিজেল নষ্ট হয়েছে বলে শাহাজান শিকদার দাবি করেন। পাশাপাশি অগ্নিকান্ড শক্রতামূলক কি না বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে কয়েকটি বাড়িসহ ঘাট শ্রমিক লীগের একটি অফিসও ভস্মীভূত হয়েছে।