দৈহিক রোগব্যাধি থেকে মুক্ত থাকতে হলে দেহকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ মানব দেহের প্রধান শত্রু। দেশের আবহাওয়ার কারণে আমরা পরিষ্কার থাকার চেষ্টা করলেও তা পারি না। মহানগরের বাতাসের সঙ্গে সবসময় ধূলাবালি উড়ছে যার কারণে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে সবসময় খেয়াল রাখা দরকার। সুস্থ সুন্দর জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ। সুন্দর পরিবেশ আমাদের দেহ-মনকে সবল ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। প্রত্যেকটি মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় পরিবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এমনকি শিশু- কিশোরদের মানসিকতা বিকাশেও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে। পক্ষান্তরে, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ আমাদের সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে বাধা সৃষ্টি করে। যার কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিশুর মানসিক বিকাশর।এভাবে বললেন জনউদ্যোগ, খুলনার আলোচনা সভায় বক্তারা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জনউদ্যোগ, খুলনার আয়োজনে ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে “এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তরুণ্যের উৎসব উপলক্ষ্যে “পরিচ্ছন্নতা শুরু হোক আমার কাছ থেকে ” শিরোনামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ম্যাচ ইন্ডাস্ট্রিজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরপ্রধান শিক্ষক কৌশিক কুমার বর্মন। সঞ্চালনা করেন জনউদ্যোগ, খুলনার আহবায়ক শিক্ষকনেতা মানস রায়।
সভা পতিপাদ্য বিষয়ের উপর বক্তব্য রাখেন রাখেন সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর আইনজীবীর সাবেক সভাপতি এস এম শাহনেওয়াজ, সহকারি প্রধান শিক্ষক মাইনুর রহমান, মুর্শিদা সুলতানা,উম্মে কানিজ,সীমা
পারভীন,বন্দনা রায়, মো: মোহলাইন হক ফকির, নবদীপ বিশ্বাস,বিপ্লব কুমার দাস, তামান্না রহমান, নূরজাহান খাতুন,মো: আফজাল হোসেন, বিজন কুমার মন্ডল, বিশ্বজিত পাল, মো. শামীম হোসেন, মোছা: সুফিয়া খাতুন, বিদুষ মন্ডল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, নিত্যদিন নানাভাবে পরিবেশকে নোংরা ও দূষিত করে চলেছি আমরা। সৃষ্টি করছি জনদুর্ভোগ সঙ্গে বাড়ছে ভোগান্তিও। গ্রামের পরিবেশ কিছুটা সহনীয় হলেও শহরে এই সমস্যা বেশি পরিলক্ষিত হয়। প্রতিনিয়ত অসতর্কতার হার বেড়েই চলে।
ব্যক্তিগত অবহেলার ফলে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। দিন দিন রোগ-জীবাণুর পরিমাণ বেশি হওয়ার মূলে দায়ী আমরাই। পারিবারিক ও সামাজিক এরকম দায়িত্বহীনতার ফলে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
বর্ষার সময় পানিবাহিত রোগের হাত থেকে বেরিয়ে আসা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। গরমে এসব পচে কখনো দূষিত বায়ু বা ধুলাবালি জীবাণুতে পরিণত হয়ে আমাদের ভিতরে প্রবেশ করে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই খারাপ। আরো ভয়াবহ অবস্থা হয়তো সামনে অপেক্ষা করছে যদি আমরা আমাদের পরিবেশকে পরিবর্তনের চেষ্টা না করি। সবুজ, পরিচ্ছন্ন পরিবেশবান্ধব ও বাসযোগ্য বাংলাদেশ গড়তে আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ব্যক্তিগত সতর্কতা এই সমস্যার সমাধানে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেকে দেশকে বাসযোগ্য গড়ে তুলতে এগিয়ে আসলে আমরা পেতে পারি সোনালি শ্যামল সুন্দর বাংলাদেশ। যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য হতে পারে গর্বের।