“আজ অগ্নিঝরা মার্চের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।” বাঙালির যৌক্তিক স্বাধীনতার স্বপ্নপুরণের যাত্র শুরু। ৬ই মার্চ পাকিস্তানের এয়ার মার্শাল আসগর খান বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে পুনরায় দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি রক্ষা করতে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। বাকি বিষয় আগামীকাল বক্তৃতায় জানতে পারবেন।’ এরপর থেকেই সমগ্র বাঙালীর- ঐতিহাসিক ৭ মার্চে’র বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনার অধীর আগ্রহ ও অপেক্ষায় অবসান হয় আজ। সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ঐতিহাসিক ঘটনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির কয়েক হাজার বছরের সামাজিক-রাজনৈতিক স্বপ্ন পূরণ হয়। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন।
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা এক ও অবিচ্ছেদ্য বিষয়। স্বাধীনতার ঘোষণা বঙ্গবন্ধুর কাছে কোনো আকস্মিক বিষয় ছিল না, বরং ধারাবাহিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অনিবার্য জাতীয় স্বাধীনতার দিকে তিনি বাংলার জনগণকে প্রস্তুত করেছিলেন। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’-এই ঐতিহাসিক ঘোষণার মধ্যে যেমন দেশের ভৌগোলিক স্বাধীনতার কথা অন্তভুক্তর্, তেমনি বাঙালী জাতির সার্বিক মুক্তি ও কল্যাণের আকাঙ্খা ধারণ করেছে ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ। বিশে^ আজ এ ভাষণ একটি ‘ঐশি^ক যৌক্তিক মহা কাব্য’। এর তুলনা ইতিহাসের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস” যথাযথ মর্যাদায় পালন উপলক্ষে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন কর্মসুচি উদযাপন করেছে। সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, পওে একটি বন্যাঢ্য র্যালী দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ¤্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণ করা হয়। সকাল ৯ টায় মহানগর আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ দিবস” এর আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে খুলনা মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সবাপতি ও সিটি মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক এস.এম. আসাদুজ্জামান রাসেল স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম মাওলা টিংকু, মোঃ মোজাহার হোসেন মোজ, কাজী ইউসুফ আলী মন্টু, মোঃ কামরুল ইসলাম, মোঃ রাজিব হোসাইন, মোঃ আকরাম হোসেন, মোঃ জিলহজ্জ হাওলাদার, মোস্তাফিজুর রহমান কামাল, আশরাফুল আলম বাবু, মোঃ তাজমুল হক তাজু, মোঃ শরিফুল ইসলাম প্রিন্স, এস. এম. আসিফ ইকবাল সবুজ, মোঃ রবিউল ইসলাম প্রিন্স, আসাদুল ইসলাম সানি, রবিন ধর, ফাহিদ হোসেন ঐশর্য, মোঃ দিদারুল আলম, মোঃ কবির হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, আতিকুর রহমান সোহাগ, শেখ আরিফুল ইসলাম অনিক, মোঃ সালমান জাহান, রফিকুল ইসলাম কাজল, মোঃ ফরিদুজ্জামান, মোঃ রায়হান উদ্দীন, সেলিম মৃধা, নাজমুল হক, সাকিব হাসান, আবুল বাশার খোকন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন পিয়াল, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান লিপন, মোঃ হাফিজুর রহমান সুমন, মোঃ রফিকুল ইসলাম শাওন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম অনিক, মোঃ শাহীন আলম, মোঃ মারুফ খান, মোঃ ইব্রাহীম মোড়ল, মোঃ জাহাঙ্গীর, শেখ ইমরান হোসেন, রুপম তালুকদার, জাহিদুল ইসলাম, হুমায়ুন শিকদার, মোঃ সোহেল রানা, মোঃ হাবিবুর রহমান, মোঃ সোহেল মিয়া, মোঃ সোহাগ গাজী, মোঃ রিপনুজ্জামান রিপন, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ বায়োজিত হোসেন, মোঃ নাছির মৃধা, মোঃ আনিস শেখ, মোঃ জাহিদুল ইসলাম, শেখ নিয়াজ মোর্শেদ, মোঃ সম্রাট হাওলাদার, আবুল কালাম খন্দকার, নওয়াব আহম্মেদ, রাম মোহন, সাব্বির আহম্মেদ, রানা খান, লিটন মাহামুদ, হামিদা বেগম, মোঃ রফিকুল ইসলাম কাজল, মোঃ আনিস শেখ, তুষার সরকার, আলী আজগর, রাহাত আলী মোড়ল, মারুফ হোসেন, শাজাহান শিকদার, মোঃ ইমরান হাওলাদার, মাঃ আরিফুল ইসলাম টুটুল, মোঃ তাসমিম হাসান, মোঃ হাসিব হোসেন, মোঃ নাঈম হাসান, মাফুজুর রহমান জনি, মোঃ মিজান, নুর মোহাম্মদ ময়না, গফ্ফার মোড়ল, মোঃ শওকাত হাওলাদার, মো বাদল ঢালী, মোঃ রফিক, নাসির সেখ, মোঃ রাজিব মোল্লা, মোঃ হানিফ শেখ, শেখ পারভেজ কবির, মোঃ ইকবাল হোসেন, শেখ মাহামুদ, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ জাহিদুল ইসলাম বাদশা, জামশের আলী নাঈম, মোঃ নাসির হোসেন, সয়দ জাহিদুজ্জামান জাহিদ, ফারুক মুন্সি, মোঃ মামুন শেখ, সুব্রত মিস্ত্রি, সিরাজুল ইসলাম অপু, ইব্রাহীম গাজী, মোঃ রফিকুল ইসলাম, শেখ ইমরান, রাকিব হাসান তুষার, তানভির ইসলাম সাব্বির সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীবৃন্দ।