চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ জেলার বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। পানির তোড়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ ইউনিয়নে বাঙালি নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নতুন করে বন্যা কবলিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যায় জেলার বিভিন্ন স্থানে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলার ফুলছড়ি পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৩২ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নাদীর পানি বিপদ সীমার ৭২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া গোাবিন্দগঞ্জে করতোয়া নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা কবলিত এলাকায় ডুবে আছে ফসলি জমি এবং ভেঙে গেছে রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভাট। বন্যা কবলিত গাইবান্ধা শহরের পানি এখনও নামেনি।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে জানা যায়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ১৪২টি, আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে ১৬৬টি। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৭১ হাজার ২৪ জন।
বন্যায় গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সাদুল্লাপুর উপজেলার ৪৮টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৩২৮ জন মানুষ। কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫১৭ কিলোমিটার ও বাঁধ ৫৭.৫০ কিলোমিটার। বন্যার পানিতে ১৮টি কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নয় হাজার ৮২১ হেক্টর জমির ফসল ডুবে গেছে। ভেসে গেছে ২ হাজার ৯৪১টি পুকুরের মাছ।
সরকারিভাবে ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি বেসরকারি ভাবেও বিভিন্ন সংগঠন প্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ এবং দুর্গম হওয়ায় বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণ তৎপরতা বিঘ্নিত হচ্ছে।