জীবন ও জীবিকার কারণে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবকে ছেড়ে যখন শহরে পাড়ি জমাতে হয়, তখন খুব মনে পড়ে প্রিয়জনদের কথা। মন কিছুতেই টিকতে চায় না কর্মস্থলে। সারাক্ষণ কুঁকড়ে থাকতে থাকতে বিষণ্ন হয়ে পড়ে মন। নিঃসঙ্গ জীবনে যখন প্রিয় মানুষদের মনে পড়ে, তখন আর কিছুই ভালো লাগে না। তবে সারাক্ষণ বিষণ্ন থাকলে মনের পাশাপাশি অসুস্থ হয়ে পড়বে শরীরও। তাই একা থাকলেও ভালো থাকতে শেখা জরুরি। সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কিছু উপায় রয়েছে।
নিজেকে সময় দিন
মন ভালো রাখার জন্য নিজেকে সময় দিন। নিজের প্রতি মনোযোগ দিন। গভীরভাবে নিজের প্রয়োজনের কথা ভাবুন। এর মাধ্যমে বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। নিজের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বললে মন হালকা হবে। জীবনকে ভারী করে তুলছে এমন কিছু থেকে দূরে থাকুন। নিজের উত্তরোত্তর উন্নতির ব্যাপারে ভাবুন।
আশাবাদী হোন
নিজের ভবিষ্যতের প্রতি আশাবাদী হোন। নিজের ভেতরে সর্বোচ্চ সুখ অনুভব করতে শুরু করলে প্রিয় মানুষদের থেকে দূরে থাকলেও আর একা লাগবে না। ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন। জীবন সম্পর্কে ভালো দৃষ্টিভঙ্গি লালন করুন। আশাবাদী মানুষ জীবন ও পৃথিবীকে আলাদাভাবে দেখেন। এই কারণে তাদের সবাই ভালোবাসে।
নতুন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন
শহরে এসে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিন। সিনেমা হলে বা রেস্টুরেন্টে যান। বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে শখের কাজ করুন। তাদের কাছে নিজেকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করুন। পুরনো কোনো কষ্টের স্মৃতি থাকলে তা মনে করবেন না। শহরের বন্ধু ও সহকর্মীদের খোঁজ নিন। তাদের ভালো-মন্দ জিজ্ঞাসা করুন। তাহলেই পুরোনো বন্ধুদের কথা ভেবে মন খারাপ হবে না।
ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে অন্তত তিনদিন ব্যায়াম করুন। শরীর সুস্থ রাখতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই। প্রতিদিন অন্তত আধা ঘণ্টা হাঁটুন। এতে আর দশজন মানুষের সঙ্গে পরিচিতি ও সখ্যতা হবে। বিষণ্নতা দূর হয়ে যাবে। জিমে গিয়ে ব্যায়াম করা যায়। এছাড়া ঘরে পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে ঘরেও হাঁটাহাঁটি করা যেতে পারে।
ডায়েরি লিখুন
নিঃসঙ্গতা কাটানোর অন্যতম উপায় ডায়েরি লেখা। নিজের অনুভূতি সম্পর্কে কোথাও লিখে রাখলে মন অনেক হালকা হয়। সেইসঙ্গে লেখালেখির অভ্যাস তৈরি হয়। এর মাধ্যমে জীবন সম্পর্কে আশাবাদী হওয়া যায়। কবিতা বা প্রবন্ধও লেখা যেতে পারে।