তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি খেলতে এ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ইতোমধ্যে প্রথম ওয়ানডে হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে ক্রাইস্টচার্চে ফিরেছেন তামিম বাহিনী।
আর এরই মধ্যে জানা গেল, ম্যাচে কথা কাটাকাটির মধ্যে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় ঘুষিতে অজ্ঞান হয়েছেন আরেক ক্রিকেটার।
অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার আবারও অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠ।
এমন ঘটনা অবশ্য বাংলাদেশ দলের নয়। দেশটির কোনো এক আঞ্চলিক ম্যাচে ঘটেছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম স্টাফ জানায়, ঘটনাটি গত ২০ মার্চের। এদিন নিউলিন ক্রিকেট ক্লাব ও হাউউইক পাকুরাঙ্গা ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে এই ঘটনা ঘটে। এদিন নিউলিনের ৪১ বছর বয়সী ক্রিকেটার আরশাদ বশিরের একটি ডেলিভারিকে ওয়াইড বলে সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়ার। আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তে আপত্তি তোলেন বসির। তার মতে, ওটা ওয়াইড ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আম্পায়ার ও হাউউইক দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন বসির। এ সময় হাউউইক দলের এক খেলোয়াড়ের উদ্দেশে বশির বলেন, ‘দয়া করে প্রতারণা করো না।’ এরপরই বাধে বিপত্তি। সেই খেলোয়াড় তেড়ে এসে সজোরে ঘুষি মারেন বসিরের নাকে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তোভোগী বসির বলেন, ‘ওই খেলোয়াড় আমার মুখে ঘুষি মারে। দুই হাত দিয়ে আমার ঘাড় ধরে রেখেছিল সে। আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করি। আমাকে সে আবারও মারে। আমার নাক থেঁতলে যায়। গরগর করে রক্ত ঝড়তে থাকে। শ্বাস নিতে কষ্ট হয়েছিল। এরপর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যাই। কিছুক্ষণ অজ্ঞান ছিলাম। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পর কিছুটা সুস্থ্য হই। এরপর পুলিশকে ঘটনার বিষয়ে বর্ণনা করি। আমি ওই ক্রিকেটারকে মাঠে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছি।’
পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
আরশাদ বশির নিউজিল্যান্ডে পেশাদার ক্রিকেটার নন। সন্ধ্যায় ট্যাক্সি চালান। আর দিনে ক্লাবের হয়ে ক্রিকেট খেলেন।
ঘটনাটির বিষয়ে অকল্যান্ডের কমিউনিটি ক্রিকেট ম্যানেজার ডিন বার্টলেট জানান, ‘দুই ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এ বিষয়ে। এতটুকু জেনেছি একজন খেলোয়াড়কে বাইরে রেখেছে তার ক্লাব। মৌসুমের বাকি সময়ে সে আর খেলতে পারবে না। আর পুলিশের তদন্ত শেষ হলে তার ভিত্তিতে অকল্যান্ডের কমিউনিটি আইনি পথে এগোবে।’