চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃযশোরের শার্শা উপজেলায় পেঁয়াজসহ সকল প্রকার শাকসবজি ও অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। এতে ক্রেতাদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। বাজারে এসে ক্রেতাদের পণ্য ক্রয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা।ক্রেতাদের অভিযোগ, গতকাল যে পণ্য তারা ১০ টাকায় কিনেছে আজ তা বেড়ে ১৫ থেকে ২০ টাকা হয়ে গেছে। এভাবে পণ্যের দাম যদি বাড়তেই থাকে তাহলে বাজারে আসায় কষ্টকর হয়ে যাবে।শনিবার (২৩ নভেম্বর) শার্শা উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে দেখা গেছে যে উপজেলার সব বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অনেক বেশি এবং ক্রেতা সাধারণের মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।উপজেলার ক্রেতাদের প্রায় একই ধরনের অভিযোগ। তাদের মতে, নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ অন্যরকম। পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
শার্শা উপজেলার শার্শা, নাভারন, বেনাপোল ও বাগআঁচড়া বাজার ঘুরে একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৩০ থেকে ৪০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, ৩০ থেকে ৪০ টাকার শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ২০ টাকার মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। শসা, বাঁধাকপির দামও একই হারে বেড়েছে। একটা লাউ ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য সব ধরনের শীতকালীন সবজিতে দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধিতে বাজারে ভয়াবহ অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে।
এ দিকে, মাংস ও মাছের দাম ক্রেতাদের নাগালে থাকলেও বেড়েছে চাউল, সয়াবিন তৈল এবং মসলা জাতীয় পণ্যসহ নিত্য পণ্যের দাম।বিভিন্ন অভিযানে ও বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করায় পেঁয়াজের কিছুটা দাম কমলেও আবার বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। কেজিতে ৩০ টাকা বেড়ে পাইকারিতেই ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা এবং নতুন আলু ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
বাজারে শীতকালীন শাক সবজি প্রচুর পরিমাণে পরিলক্ষিত হলেও আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে সাধারণ মানুষ অস্বস্তিতে পড়ে যাচ্ছে। তাদের দাবি বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে নিত্য পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার বিকল্প নেই। নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষরা কর্তৃপক্ষের যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করেন।