চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় ঔষধাগার (সিএমএসডি) থেকে চিকিৎসকদের জন্য দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিলো নিম্নমানের ফেস মাস্ক। এসব নিম্নমানের মাস্ক গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি এবং এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলো বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারই খেসারত দিতে হয়েছে ওইসব হাসপাতাল পরিচালকদের।
সূত্রমতে, নিম্নমানের মাস্ক গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মঞ্জুর মোর্শেদকে বদলি করা হয়েছে। বুধবার (২৯ এপ্রিল) ওএসডি (অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি) করে চিঠি দেয়া হয়েছে মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলামকে।
তবে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বেলাল হোসেন জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি বলেন, ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম কোভিড-১৯ আক্রান্ত। তিনি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাই মুগদা মেডিকেল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবীকে তার নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে হাসপাতালের পরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
গত ২৬ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ (পার-২) অধিশাখার উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শহিদ মো. সাদিকুল ইসলাম জানান, তিনি বুধবার ওএসডি’র চিঠি হাতে পেয়েছেন। আর তিনি কোভিড-১৯ পজেটিভ নন। নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
নিম্নমানের মাস্কের বিষয়ে অভিযোগ করায় ওএসডি করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না। কর্তৃপক্ষ জানেন আমাকে কেন ওএসডি করা হয়েছে। এছাড়া আপনারা সাংবাদিক আপনার বুঝে নিন।
মুগদা হাসপাতালে ৩০০ মাস্ক দেয়া হলে সেগুলোর মোড়কে ‘এন-৯৫ ফেস মাস্ক’ লেখা দেখে চিকিৎসকদের সংশয় তৈরি হয়। এর প্রেক্ষিতে অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ বিষয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা জানান, এই মাস্ক দুর্নীতির সঙ্গে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের শক্তিশালী একটি মহল জড়িত। আর নিজেদের এই দুর্নীতি ঢাকতেই তারা যেসব চিকিৎসক এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছিলো তাদের বদলি ও ওএসডি করছে।
এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে যে সমস্যার তৈরি হয়েছে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে যুক্ত হয়ে স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন সিএমএসডি পরিচালক। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বেই এন-৯৫ মাস্কের সংকট রয়েছে বলে সেই সময় জানান তিনি।