করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষদের সহায়তায় নতুন পাঁচটি প্রণোদনা প্যাকেজের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম মঙ্গলবার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন পাঁচটি প্রণোদনার মাধ্যমে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা দেয়া হবে ক্ষতিগ্রস্তদের।
ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আরোপিত বিধিনিষেধের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত নিম্ন আয়ের মানুষের সহায়তায় এ প্যাকেজগুলো ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম প্যাকেজে রাখা হয়েছে দিনমজুর, পরিবহনশ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও নৌপরিবহন শ্রমিকদের জন্য।
এ ক্ষেত্রে ১৭ লাখ ২৪ হাজার ৪৭০ জন সুফলভোগীর বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা।
এই প্যাকেজের আওতায় ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ জন দিনমজুর, ২ লাখ ৩৫ হাজার ৩৩ জন পরিবহন শ্রমিক, ৫০ হাজার ৪৪৫ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং ১ হাজার ৬০৩ জন নৌ-পরিবহন শ্রমিকপ্রতি নগদ দেয়া হবে দুই হাজার ৫০০ টাকা করে।
দ্বিতীয় প্যাকেজের আওতায় সারা দেশে ৮১৩টি কেন্দ্রে বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা।
শহর এলাকায় নিম্ন আয়ের জনসাধারণকে সহায়তায় আগামী ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিন এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও ১৪ হাজার মেট্রিক টন আটা।
তৃতীয় প্যাকেজের আওতায় জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মূলত ৩৩৩ নম্বরে কল করে জনসাধারণের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্যই এ প্যাকেজ। এতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০০ কোটি টাকা।
চতুর্থ প্যাকেজের আওতায় গ্রামীণ এলাকায় কর্মসৃজনমূলক কার্যক্রমে অর্থায়নের জন্য পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক ও পিকেএসএফের মাধ্যমে চার শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেয়ার জন্য আরও ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর আগেও এ খাতে ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
পঞ্চম প্যাকেজের আওতায় পর্যটন খাতের অনুকূলে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। এর আওতায় পর্যটন খাতের হোটেল, মোটেল, থিম পার্কের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার মাধ্যমে ৪ শতাংশ সুদে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ সহায়তা দেয়া হবে।