সামনের টেবিলে শর্টগান, পেছনে আনারস প্রতীকের পোস্টার। মুখে অর্ধেক মাস্ক ও মাথায় টুপি পরে কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছেন। এমন প্রচারণার ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের দিলারপুর বাজারে।
ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন সরকার নির্বাচনী ক্যাম্পে শর্টগান নিয়ে প্রচারণায় যান। পরে তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। এনিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো নির্বাচনী এলাকা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. সাইফুল হক স্বপন।
স্থানীয়রা জানান, আগামী ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নরসিংদী সদর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সদর ও রায়পুরা উপজেলায় নির্বচনী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এতে পুরো জেলাজুড়েই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নে প্রকশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী মো. জালাল উদ্দিন সরকার। আর তাঁর ছবি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযেগমাধ্যমে।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল প্রকাশ্যে এই অস্ত্রের মহড়া দেওয়ায় পুরো এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আমি নিজেও আতঙ্কিত। নির্বাচনে তাঁর পরাজয় নিশ্চিত জেনে ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন করতেই এই অস্ত্রের মহড়া। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করছি।
এনিয়ে জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, ‘এটা আমার লাইসেন্স করা শর্টগান। কেউ চাইলে লাইসেন্স দেখতে পারেন। আমি রাতের বেলা কোথাও গেলে নিরাপত্তার স্বার্থে শর্টগানটি সঙ্গে নিয়ে ঘুরি। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় দিলারপুর বাজারে আমার নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন ছিল, সেখানে বাইরের লোক ছিল, তাই শর্টগান নিয়ে গিয়েছিলাম।’
নির্বাচনের সময় সকল বৈধ অস্ত্র থানায় জমা রাখা হয় আপনি জমা দেননি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের বিষয়। এটা তারা বুঝবেন।’
নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সওগাতুল আলম বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।