মন্ত্রিসভায় নীতিগত অনুমোদন পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন আগামী ২৩ জানুয়ারি চলতি অধিবেশনেই সংসদে পাশ হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এছাড়া, এই আইন অনুযায়ীই নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন হবে বলে জানান তিনি। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাড়াহুড়া না করে রাজনৈতিক দলসহ বিশিষ্ট জনদের মতামত নিয়ে আইন করা উচিত।
এর আগে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন সোমবার অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। এরপর প্রশ্ন তৈরি হয়, চলতি সংসদ অধিবেশনেই আইনটি পাশ হবে কিনা? এবং এবারই এই আইনে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে কি না?
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইঙ্গিত দেন এ অধিবেশনেই পাস করার। আইনমন্ত্রী পরিস্কার করলেন, এবারই সব হবে নতুন আইন অনুযায়ী।
আইন করার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আইন পাস করার আগে যাচাই-বাছাই ও আলোচনা জরুরি বলে মনে করেন তারা।
কিন্তু আইনমন্ত্রী বললেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। এই সময়ের মধ্যে আলোচনা করার সুযোগ কম। তবে করোনা পরিস্থিতির ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে বলে জানান আইনমন্ত্রী।
এর আগে সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ আইনের অনুমোদন দেয়া হয়। ওই দিন বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে সিইসি ও ইসি নিয়োগ করা হবে।
তিনি জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বয়স ৫০ বছর হতে হবে। সরকারি আধা-সরকারি ও বিচার বিভাগের কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সিইসি ও কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে। ছয় সদস্যের এই সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি।