আন্তর্জাতিক ডেস্কঃইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের বিশেষ দূত মজিদ তাখত রাভানচি। এবার তেহরান হত্যাকাণ্ডটির ‘নিষ্ঠুর বদলা’ নেবে বলেও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতিসংঘে নিযুক্ত এই ইরানি দূত বলেছেন, গত রাতে যা ঘটেছে, তার পর আমরা চোখ বন্ধ করতে পারছি না। অবশ্যই নিষ্ঠুর বদলা নেওয়া হবে। কঠোর প্রতিশোধ নেওয়া হবে… তা কবে, কখন এবং কোথায় হবে সেটি ঠিক করবে ইরান। মজিদ তাখত রাভানচি আরও বলেন, সামরিক হামলার জবাব অবশ্যই সামরিক প্রক্রিয়ায় দিতে হয়। কে হামলাটি করবে, কখন হবে এবং কোথায় হামলা চলবে তা সবাই দেখতে পাবে।
সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, ইরানি সেনাদের পাল্টা হামলা মোকাবিলার এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত তিন হাজার সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর ‘পেন্টাগন’। এ ছাড়া অঞ্চলটিতে কর্মরত মার্কিন কূটনীতিকদের যে কোনো সময় কর্মস্থল ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ভোরে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। যুক্তরাষ্ট্রের সেই অভিযানে ইরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।