কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি :: আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কয়রায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আছের আলী। তিনি সোমবার বিকাল ৩ টায় কয়রা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে আংটিহারা মোড়ে নৌকার প্রার্থী কবি শামছুর রহমানের পুত্র মাষ্টার মিলনের নেতৃত্বে তার পথ সভায় হামলা চালিয়ে ৪ জন কে কুপিয়েছে। এ ঘটনায় তার ভাই সাবেক মেম্বর নাছের আলী ও তার ছেলে মনিরুল কে দা’এর কোপে মাথায় আঘাত করায় পিতা পুত্র মারাক্তক জখম হয়ে খুলনায় চিৎিসাধীন আছে, তবে ভাই নাছের আলীর অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন। এছাড়া তার ২ কর্মী গফুর মোড়ল ও রিপন জায়গীর মহল হাসপাতলে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, তার সভাস্থল থেকে নৌকা প্রার্থীর পুত্র মিলন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী ১২ টি মোটর সাইকেল ভেঙ্গে চুরমার করে দিয়েছে এবং ৪ টি মোটর সাইকেল নিয়ে গেছে। তিনি এ ঘটনায় কয়রা থানায় ২৫ জনকে আসামী করে মামলা করায় পুলিশ সাদ্দাম নামে ১ জনকে আটক করেছেন। তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী কবি শামছুর রহমান বিগত ৫ বছরে এলাকায় তার পুত্র মিলন বাহিনী তৈরি করে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করায় তার নামে কয়রা থানা ও আদালতে ৭/৮ টি মামলা চলমান আছে, যাহা পত্রিকায় বিভিন্ন সময় প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ৫ বছরে আমিও একই পরিষদে মেম্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং চেয়ারম্যান কবি কে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দিয়ে টাকা নেওয়া সহ ৪০ দিনের কাজ, টিআর, কবিখা, বিভিন্ন ভাতার কার্ড দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটপাটের খবর এলাকার আবাল বৃদ্ধাবনিতা সকলে অবগত। যে কারনে ২০ তারিখে নির্বাচনে তার পরাজয় নিশ্চিত জেনে চারদিকে টাকা ছড়াছড়ি, সন্ত্রাস বাহিনী প্রধান মিলন প্রতিদিন ইউনিয়নের কোন না কোন এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর হামলা এবং হুমকী দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এলাকার আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান ও তার সন্ত্রাসী পুত্র মিলনের উপর বিশ^াস হারিয়েছে অনেক আগেই। এ বিষয় উপজেলা আওয়ামীলীগের স্থানীয় নেতা বুলবুলে সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এলাকায় মিলন এখন সন্ত্রাস বাহিনীর প্রধান হিসেবে পরিচিত এবং তার পিতা চেয়ারম্যান কবি ভাই উপজেলা নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী হয়ে জনসভায় প্রকাশ্য ঘোষণা করেছিলেন এই নৌকা ডাকাতির নৌকা। কিন্তু আজ ইউনিয়ন নির্বাচনে তিনি নৌকা নিয়ে ভোট চাওয়ায় তাকেও ডাকাতির নৌকা বলে ব্যাপক প্রচার করছেন দলের তৃর্ণমূল নেতাকর্মীরা। তবে ঘটনার বিষয়ে নৌকার প্রার্থীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।