চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনড়াইলের লোহাগড়ায় কিশোরীকে গণধর্ষণের মামলায় মুরছালিন মৃধা (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) নড়াইল সদর হাসপাতালে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে (২৪ ডিসেম্বর) এই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় প্রধান আসামি মুরছালিন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, লোহাগড়ার জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের লাজুক মৃধার ছেলে মুরছালিন মৃধা একই এলাকার ওই কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। গত মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে মুরছালিন ওই কিশোরীকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। ওই রাতেই চাচই-ধানাইড় গ্রামে মজিবর এর ইটভাটার ইটকাটা শ্রমিক মিন্টুর কক্ষে নিয়ে যায়। এরপর মুরছালিন মৃধাসহ আড়িয়ারা গ্রামের খায়ের শেখের ছেলে নাছির শেখ (২০), জাকারিয়া মোল্যার ছেলে এনামুল মোল্যা (২২), আজিম খানের ছেলে রাসেল খান (১৯) ওই কিশোরী গণধর্ষণ করে।
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর ৬টার দিকে ওই ইটভাটার কাছে কিশোরীকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে চেতনা ফিরে এলে কিশোরী তার এক আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে ঘটনা খুলে বলে। পরে ওই আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে কিশোরী বাবা ও মা ঘটনা জানতে পারে।
পরবর্তীতে প্রতিবেশী মুরাদ শেখ গত শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ঘটনা জানালে লোহাগড়া থানা থেকে ধর্ষিতাকে থানায় নিয়ে আসার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। শুক্রবার কিশোরীকে থানায় এনে চাচা বাদী হয়ে ওই চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল-বারী জানান, শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।