চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃনড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঘাঘা গ্রামে ১১কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর তীরে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে দীর্ঘসূত্রিতা ও অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে দুদকের টীম ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন যশোরের উপ-পরিচালক নাজমুছসাদাতের নেতৃত্ব একটি টীম রবিবার (২৪ নভেম্বর) বিকালে টীমের সদস্যবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে ঘাঘা এলাকার দুটি পয়েন্টে ১১ কোটি ৮৮হাজার ৯শ ৯৭ টাকা ব্যয়ে ৪১০মিটার নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তুএখন পর্যন্ত মাত্র ৩০% কাজ শেষ হওয়ায় তদন্ত টীম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় নদীভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থরা কাজের ধীরগতির কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরিদর্শনকালে নড়াইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াজেদ আলী চাকলাদার, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী হাফিজুর রহমান সহ ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৪/০১/২০১৯ তারিখে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে মধুমতি নদীর তীরে ৪১০ মিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়, যা কার্যাদেশ অনুযায়ী ২০১৯ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু টিম জানতে পারে, মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার ৫ মাস অতিবাহিত মাত্র ২৭% কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং এ বাবদ প্রায় ৩ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত বর্ষা মৌসুমে উক্ত এলাকায় নদী ভাঙ্গনে প্রায় ১৫০-২০০টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড, নড়াইল কর্তৃপক্ষের ব্যাপক গাফিলতি রয়েছে মর্মে দুদক টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত চেয়ে কমিশনে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে অভিযানকারী টিম।