শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভায় করোনাকালীন হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণের ৪৫ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে নড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নিজস্ব গোডাউন থেকে। নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন এ সময় গোডাউনটি সিলগালা করে দেয়। বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নড়িয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাংলাবাজার এলাকা থেকে এ চাল উদ্ধার করা হয়। খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
নড়িয়া উপজেলা খাদ্য গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিলন মিয়া ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, করোনাকালীন হতদরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য গত জুন জুলাই মাসে ১০ টাকা কেজি দরে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। সেই চাল না দিয়ে গুদামজাত করে রাখা হয়।
বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে নড়িয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র শহীদুল ইসলাম সরদারের নিজস্ব গোডাউন স্থানীয় মোহনা সমবায় সমিতির অফিস থেকে ৪৫ বস্তা বিশেষ ওএমএসের চাল উদ্ধার করেছে নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন। এসব চাল তার স্ত্রী জোসনা বেগমের নামে পৌর এলাকার বাংলাবাজার ও লোনসিং এলাকায় ডিলার শিপের মাধ্যমে উত্তোলন করা হয়; যা হতদরিদ্র ও করোনাকালীন লকডাউনে থাকা দরিদ্র ও অসহায়দের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ ঘরে থাকার কারণে চালগুলোতে পোকা ধরেছে; যা বর্তমানে মানুষের খাবারের অনুপযোগী হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার নড়িয়া উপজেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা এসব চাল উদ্ধার করে তাদের নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে গেছে। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা কর্মকর্তা।
প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর শহীদুল ইসলাম সরদার বলেন, আমার স্ত্রী জোসনা বেগমের নামে ডিলারশিপের মাধ্যমে এসব চাল উত্তোলন করি। কার্ডধারীরা চাল নিতে আসেননি তাই আমি চালগুলো বিতরণ করতে পারিনি।
নড়িয়া উপজেলা খাদ্য বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিলন মিয়া বলেন, আমরা খবর পেয়ে বাংলাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলরের গোডাউন থেকে ৪৫ বস্তা চাল উদ্ধার করেছি। যেটা আমাদের সংরক্ষণে রেখেছি।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপাপ্ত) তানভীর আল নাসিফ বলেন, আমরা বুধবার রাতে বিষয়টি জানার পর কাউন্সিলরের গোডাউনে তালা মেরে দিয়েছি। চালগুলো উদ্ধার করে খাদ্য বিভাগের নিয়ন্ত্রণে রেখে দিয়েছি। খাদ্য কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।