বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী বলেছেন, সরকার পতন আতংকে ভুগছে। আয়নায় নিজের চেহারা দেখলে তারা ভয় পায়। পদযাত্রার মতো শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচাল করতে পুলিশ শহর জুড়ে তান্ডব চালিয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, অবৈধ লুটেরা অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির সংগ্রাম চলবে।
গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেল সহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ফ্যাসিস্ট সরকারের পদত্যাগ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সহ সকল রাজনৈতিক কর্মীদের মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনা সদর থানা বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
শনিবার ৪ মার্চ বিকেল ৩টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিকত সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, সৈয়দা রেহানা ঈসা, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, বেগ তানভিরুল আযম, কে এম হুমায়ুন কবির, এহতেশামুল হক শাওন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, নাসির খান, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মুজিবর রহমান, সিরাজুল ইসলাম লিটন, কাজী কামরুল ইসলাম বাবু, হুমায়ুন কবির চৌধুরী, শেখ আরশাদ আলী, মাহবুবুল্লাহ শামীম, কে এম মাহবুবুল আলম, বুলবুল মোল্লা, জহিরুল ইসলাম জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, ছাত্রদলের ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিকুল ইসলাম শাহিন, মহিলা দলের অ্যাডভোকেট কানিজ ফাতেমা আমিন, কৃষক দলের সজীব তালুকদার, তাঁতি দলের শেখ আবু সাঈদ, কাওসারী জাহান মঞ্জু, আরিফা আশরাফী চুমকি, খায়রুজ্জামান সজীব। প্রধান অতিথি নিতাই রায় বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমরা একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। কিন্ত এই সরকার মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে ধ্বংস করেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করা আমাদের সংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্ত সরকার সেই অধিকারকে ভূলুন্ঠিত করেছে।
দ্রব্যমূল্য পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সরকার নিয়ন্ত্রিত সিন্ডিকেটের কারণে তা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। পদযাত্রা কর্মসূচি বানচাল করতে জেলায় জেলায় পুলিশী তৎপরতা ও গণগ্রেফতার এবং তল্লাশি অভিযানের নামে ভয়ভীতি প্রদর্শনের তিব্র নিন্দা জানান তিনি। সমাবেশ থেকে আগামী ১১ মার্চ শনিবার দেশের সকল মহানগর ও জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়। সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল থানার মোড় থেকে শুরু হয়ে কেসিসি মার্কেট চত্বর ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
সোনাডাঙ্গা থানা: বিকেল সাড়ে ৪টায় নগরীর ডালমিল মোড় থেকে সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির উদ্যোগে পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। এখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শের আলম সান্টু। প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান। বদরুল আনাম খানের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন মুজিবর রহমান, হাফিজুর রহমান মনি, আশফাকুর রহমান কাকন, শেখ ফারুক হোসেন, শেখ জামালউদ্দিন, একরামুল কবির মিল্টন, আসাদুজ্জামান আসাদ, কামাল হোসেন প্রমুখ।
খানজাহান আলী থানা : খানজাহান আলী থানা বিএনপির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিকেল ৪টায় ফুলবাড়িগেটস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি কুয়েট রোড হয়ে তেলিগাতি গিয়ে শেষ হয়। নগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবুর সভাপতিত্বে পদযাত্রা পূর্ব সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। উপস্থিত ছিলেন কাজী মিজানুর রহমান, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, শেখ আব্দুস সালাম, শেখ আলমগীর হোসেন, সরোয়ার হোসেন, রফিকুল ইসলাম বাবু, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, আজিজা খানম এলিজা, এনামুল হক, মোঃ এমদাদুল হক, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, জাহিদুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন মিজান, ফকির রবিউল ইসলাম, ফরহাদ হোসেন, মিনা মুরাদ হোসেন, আতাউর রহমান মোড়ল, শাহ আলম শিকদার, মিজানুর রহমান, তৈয়েবুর রহমান, মলি চৌধুরী, চমন আরা প্রমুখ।
খালিশপুর থানা : খালিশপুর থানা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন আজিজুল বারী হেলাল, শফিকুল আলম তুহিন, মনিরুল হাসান বাপ্পী। কাজী মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, আবুল কালাম জিয়া, মাহবুব হাসান পিয়ারু, শেখ সাদী, শাহিনুল ইসলাম পাখী, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, হাসান উল্লাহ বুলবুল, মিজানুর রহমান মিলটন, আজিজা খানম এলিজা, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, কাজী আব্দুল লতিফ, জাহিদুল হোসেন, জহর মীর, মোহাম্মদ হোসেন, সাইফুল ইসলাম সান্টু, লিটন খান, খোদাবক্স কোরাইশী কাল্লু, তছলিম উদ্দিন, মশিউর রহমান খোকন, জাহিদুর রহমান রিপন, রফিকুল ইসলাম, মুজিবর রহমান, আনজিরা খাতুন, শাহানা সরোয়ার, পারুল বেগম, দ্বীন মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, গোলাম সরোয়ার, আফরোজা জামান, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি, ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি প্রমুখ।
দৌলতপুর থানা : প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু জয়ন্ত কুমার কুন্ডু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ ধর্ম সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু। মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক স ম আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন মুরশিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন প্রমুখ।