আন্তর্জাতিক ডেস্কঃপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে বিরোধীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইসলামাবাদ। ইমরান খানকে পদত্যাগের জন্য বিরোধীদলীয় নেতা কর্মীদের জোরালো এই বিক্ষোভ থেকে দুই দিনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে; যা শেষ হচ্ছে আজ।বিরোধীদের এই আল্টিমেটাম উড়িয়ে দিয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার বলছে, বিরোধীদের আল্টিমেটামে পদত্যাগ করবেন না প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী পারভেজ খাট্টাক বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হবে না। পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই আসে না।
তিনি বলেন, কাউকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ দেয়া হবে না। পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী একটি নিরপেক্ষ সরকারি সংস্থা; যা সবসময় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে সমর্থন দেয়।এর আগে পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, বিক্ষোভের আয়োজক জমিয়ত-ই-ইসলামের (জেইউআই-এফ) প্রধান মাওলানা ফজুলর রেহমানের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের করবেন তারা। কারণ ফজুলর রেহমান বলেছেন, তিনি ইমরান খানকে গ্রেফতার করবেন।
শুক্রবার ইসলামাবাদে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ ইমরান খানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে। ২০১৮ সালে দেশটির নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মাওলানা ফজলুর রেহমানের রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য বিরোধী দল এই বিক্ষোভ করছে।
দেশটির দক্ষিণাঞ্চলের শহর করাচি থেকে রাজধানী ইসলামাবাদের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৌঁছার পর থেকে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে। মাওলানার নেতৃত্বে শুরু হওয়া সরকারবিরোধী এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েেছে দেশটির প্রধান দুই বিরোধী রাজনৈতিক দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ।
শুক্রবার মাওলানা রেহমান ঘোষণা দেন, ইমরান খানকে দুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে। কিন্তু তিনি যদি পদত্যাগ না করেন; তাহলে কী হবে সেব্যাপারে বিস্তারিত কিছুই জানাননি বিরোধীদলীয় এই নেতা।এদিকে, দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মুখপাত্র মেজর জেনারেল আসিফ গফুর সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করতে কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে না।
সূত্র : আইএএনএস।