গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৯৫ শতাংশ। মূল সেতুর কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ১২ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১১ হাজার ৪০৫ কোটি টাকা। মূল সেতুর ৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করতে অবশিষ্ট রয়েছে ১ হাজার ৮৯ কোটি টাকা।
নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে সেতুর বাকী ৫ শতাংশ কাজ শেষ করতে হবে বলে জানিয়েছেন পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আবদুল কাদের।
তিনি জানান, নদীশাসন কাজের চুক্তিমূল্য প্রায় ৮ হাজার ৯৭৩ কোটি টাকা এবং এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৩২ কোটি টাকা। নদীশাসন কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এ ছাড়া ৫ হাজার ৮৩৪টি শেয়ার পকেট স্থাপনের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ১২ হাজার ৩৯০টি প্যারাপেট ওয়ালের মধ্যে ১০ হাজার ৩৭৭টি স্থাপন করা হয়েছে। যার কাজের অগ্রগতি ৮৪ শতাংশ।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারে ৪১টি স্প্যান স্থাপন শেষে ৬ হাজার ১৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। যাতে ২ হাজার ৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাব ও ২ হাজার ৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাব বসানো শেষ হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়াডাক্টে ৪৩৮টি সুপার টি-গার্ডারের মধ্যে ৪৩৮টি এবং ৮৪টি রেলওয়ে আই-গার্ডারের মধ্যে ৮৪টি স্থাপন করা হয়েছে।
এই এ প্রকল্পের বাজেট প্রায় ৩০ হাজার ১৯৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ২৬ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পদ্মাসেতুর কাজের অগ্রগতি ছিল ৯৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ। নদী শাসন কাজের কাজের অগ্রগতি ছিল ৮৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।