সড়ক ও রেলপথের পর গ্যাস লাইন স্থাপনের মাধ্যমে পদ্মা সেতুতে যোগ হলো ত্রিমাত্রা। সড়ক আর রেলের পর দক্ষিণাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের কর্মযজ্ঞ শুরু হলো। সাড়ে ৫ টন ওজনের গ্যাসপাইপ ক্রেনে করে সেতুর ওপর উঠানো হচ্ছে। রেলওয়ে স্ল্যাব সব বসে যাওয়ায় ৬ দশমিক এক পাঁচ কিলোমিটার সেতুর নিচতলায় রেলপথের পাশেই বসছে গ্যাস পাইপলাইন। বাধাহীনভাবে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে বহুমাত্রিক পদ্মা সেতুর কাজ।
এরপর সেতুর নিচতলায় রেলের পূর্ব পাশেই বসানো হচ্ছে। গ্যাস পাইপলাইন সেতুর ১ নম্বর ও ৪২ নম্বর খুঁটি দিয়ে মাটিতে নামিয়ে আনা হবে। যুক্ত হবে জিটিসিএলের সাব স্টেশনে। দুই প্রান্তে দুটি সাব স্টেশন থাকবে।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ হয়ে লাঙ্গলবন্দ থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর হয়ে এই গ্যাস যুক্ত হবে মাওয়া গ্যাস সাব স্টেশনে। এখান থেকেই গ্যাস যাবে দক্ষিণাঞ্চলে।
পদ্মা সেতু প্রাকৃতিক গ্যাসলাইন প্রকল্পের কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আফজাল হোসেন বলেন, ১ নম্বর ও ৪২ নম্বর খুঁটিতে সাব স্টেশন হবে। এখন থেকে লাইন নিচে নামবে।
প্রকল্পের কন্সট্রাকশন ম্যানেজার ফয়সাল আহমেদ বলেন, এটি অনেক জটিল কাজ। তবে আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে।
সাতটি মডিউলে ভাগ করে সেতুতে ৬ দশমিক সাত শূন্য কিলোমিটার গ্যাস পাইপ বসানোর লক্ষ্যে সেতুর ৪২ থেকে ৩৭ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত ৭ নম্বর মডিউলে গ্যাসপাইপ স্থাপন শুরু হয়েছে।
প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন প্রকল্প পরিচালক সুন হুন্ডু বলেন, পাইপগুলো সারি সারি রাখা হচ্ছে। রোববার (২২ আগস্ট) থেকে ওয়েল্ডিং শুরু হবে। ৭৬২ মিলিমিটার ডায়া এবং ২৫ দশমিক ৪০ ওয়াল থিকনেসের এই গ্যাস পাইপলাইন।