নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে প্রেমিক মো. ইসমাইলকে (৩১) সঙ্গে নিয়ে স্বামী ব্যবসায়ী মো. কুদ্দুসকে (৫১) বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে হত্যা নিশ্চিত করে ডাকাতির নাটক সাজান স্ত্রী সুরমা আক্তার প্রকাশ বিবি আছিয়া (৪০)।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন বেগমগঞ্জ থানায় প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রফিকপুর গ্রাম থেকে কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। মরদেহ উদ্ধারের সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী সুরমা আক্তারকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে প্রেমিক দুবাই প্রবাসী মো. ইসমাইলকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই ইউনিয়নের লতিফপুর গ্রামের সামছুল হকের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন বলেন, পাঁচ বছর আগে নিজেদের বাড়ির দালান করার সময় টাইলস মিস্ত্রি মো. ইসমাইলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সুরমা আক্তার। এদিকে ইসমাইল দীর্ঘদিন দুবাই থাকার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর বাড়িতে না জানিয়ে দেশে এসে সেনবাগের খালার বাসায় ওঠেন। সুরমার প্ররোচনায় তার স্বামী কুদ্দুসকে হত্যার পর আবারও দুবাই চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তিনি।
বিজয়া সেন আরও বলেন, বুধবার রাতে সুরমা আক্তার প্রেমিক ইসমাইলকে বাড়ির ছাদে লুকিয়ে রাখেন। রাতে স্বামী কুদ্দুসকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ইসমাইলকে ডেকে নেন। পরে কদ্দুসের দুই পায়ে তার বেঁধে বিদ্যুতের সংযোগ লাগিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন এবং পরে প্রেমিককে বের করে দিয়ে বাসায় ডাকাতির নাটক সাজান স্ত্রী সুরমা আক্তার।
এদিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে স্ত্রী সুরমা আক্তার অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। একপর্যায়ে প্রেমিককে নিয়ে নিজের স্বামীকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন সুরমা। পরে তার দেওয়া তথ্যে অভিযান চালিয়ে পাসপোর্ট ও বিমান টিকেটসহ ঘাতক ইসমাইলকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টা ৫ মিনিটের ফ্লাইটের দুবাই পাড়ি দেওয়ার কথা ছিল।