ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর নায়েবে আমীর ও খুলনা মহানগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঘরবাড়ি, সহায়-সম্পত্তি ও উপাসনালয়সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপাসনালয়ে সিসি ক্যামেরা প্রতিস্থাপন করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশপ্রেমিক জনগণকে যে কোন মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের পাঁয়তারা রুখে দিতে হবে। দেশের সকল নাগরিককে স্ব-স্ব জায়গায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার (১২ আগষ্ট) বিকালে পাওয়ার হাউজ মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানার নেতৃবৃন্দ সাক্ষাত করতে এলে তিনি তাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইন, জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, আলহাজ্ব জাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, এইচএম আরিফুল ইসলাম, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, হাফেজ আব্দুল লতিফ, গাজী মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোল্লা রবিউল ইসলাম, গাজী ফেরদাউস সুমন, কাজী তোফায়েল হোসেন, মোহাম্মদ কবির হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোঃ সজিব, আকবর আলী পাঠান, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মোঃ ইব্রাহিম ইসলাম খান, যুব নেতা মোঃ ইমরান হোসেন মিয়া, মোঃ আব্দুস সবুর, ছাত্র নেতা মোঃ মাহাদী হাসান মুন্না, মোস্তফা আল গালিব, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মাওঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, পরাজিত শক্তি সংখ্যালঘুদের ঢাল বানিয়ে দেশকে নতুন করে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিতে চক্রান্ত করছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের হাতিয়ার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এরাই সংখ্যালঘুদের বাড়ী-ঘরে হামলা করে বিরোধী মতকে দমন করেছে অতীতে। অনেককে গ্রেফতার করার পর জানা যায় তারা আওয়ামী লীগের কর্মী, অনেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক। এবার বিশ্বে নজির স্থাপন করেছে ইসলামপন্থি সংগঠন ও কওমী মাদরাসার ছাত্রসহ অন্যান্য ছাত্ররা। বিশেষ করে গণহত্যাকারী সরকারের দেশ থেকে পলায়নের পর দেশের আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা ভেঙে পরে। ঐ সময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এর সহযোগী সংগঠন ইসলামী যুব আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনের খুলনার নেতাকর্মীরা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থানা, উপজেলা, সংখ্যালঘুদের উপাসনালয়, বাড়ী-ঘর, পাহার দেয়। সড়কে যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন, রাস্তা-ঘাট পরিস্কারকরণ, চোর-ডাকাত রোধে রাত্রী জেগে পাহারা প্রদানসহ দেশের সর্বক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে দেশ-বিদেশের প্রসংশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোতে সচিত্র সংবাদ পরিবেশন করেছে। ইসলামী আন্দোলনের কর্মী ও ইসলামপন্থিদের প্রসংশা করে ভারতের জয় শঙ্কর মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছে। এরপরও এদেশের কিছু দালাল দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে সংখ্যালঘুদের দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপরিণামদর্শি খেলয় মেতে উঠেছে।
তিনি বলেন, দেশের আইন, বিচার, সংসদ, প্রশাসন, অর্থ, শিক্ষা, শিল্প ও দেশপরিচালনার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা সাম্য ও ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ চাই।