চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র ও বাগেরহাট-১ আসনের এমপি শেখ হেলাল উদ্দীন বলেছেন, আওয়ামী লীগে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারিদের কোনো স্থান নেই। দয়া করে দলের কোনো নেতা এসব ব্যক্তিসহ স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের পরিবারের সন্তানদের দলে ঠাঁই দিবেন না। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের প্রাণ। ওয়ান ইলেভেনসহ দলের দুর্দিনে তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতাকর্মীরাই দলকে বাঁচিয়ে রেখেছে। এ কারণে দলে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খানজাহান আলী কলেজ মাঠে আয়োজিত বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়েছে। তাই আদালতের মাধ্যমেই তাকে মুক্ত হতে হবে। তার মুক্তির নামে আন্দোলন করে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে, সরকার কঠোর হাতে তা দমন করবে।
এর আগে সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার ৯টি উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনের মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসেন। সকাল সাড়ে ১০টার পর নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। পরে বেলা ১২টায় শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য। তবে সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তিনি সম্মেলনে অংশ নিতে পারেননি।
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি আলহাজ ডা. মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মিরজা আজম, আবু সাঈদ স্বপন বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রমুখ। সম্মেলনটির সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নকিব নজিবুল হক নজু।
এ দিকে, সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিলরদের সর্বসম্মতিতে ড. মোজাম্মেল হোসেনকে সভাপতি, শেখ কামরুজ্জামান টুকুকে সাধারণ সম্পাদক এবং খান হাবিবুর রহমানকে এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথি শেখ হেলাল উদ্দীন এমপি।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনকে ঘিরে দলকে সুসংগঠিত কারার লক্ষ্যে গত জুলাই মাস থেকে জেলার প্রায় সাত শতাধিক ইউনিটকে নিয়ে দল সাজানোর কাজ শুরু করেন শীর্ষ নেতারা। এরই ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট জেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বাদে মোট ৬৮টি ইউনিট এবং ৯ উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করা হয়। দল পুনর্গঠনের কাজ শেষ হয় গত নভেম্বরের ২৮ তারিখে। এর মধ্যে তৃণমূলের ৬০ থেকে ৭০ ভাগ নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয় সরাসরি ভোটের মাধ্যমে। তবে, ৯ উপজেলার কোনো কমিটিতেই ভোট হয়নি। সমঝোতার মাধ্যমে এসব কমিটি গঠিত হয়। যার অধিকাংশেই সাবেক কমিটি বহাল রয়েছে।