‘ভালো আছি, আমি কেশবপুরেই আছি’, নিজের হাল-হাকিকতের প্রশ্নে এমন জবাবই দিলেন ফেরদৌস কবীর সৌরভ। তিনি একাধারে খেলোয়াড় ও ব্যবসায়ী। রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত। তা ছাড়া ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণির প্রথম স্বামী এই সৌরভ।
বর্তমানে যশোরের কেশবপুরে আছেন তিনি। কথার শুরুতেই জানান পরীমণির বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না তিনি। তবে নিজের বিষয়ে মুখ খুলতে আপত্তি নেই। বললেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় দিনকাল ভালোই কাটছে। আগে আমি ঢাকায় ফুটবল খেলতাম। বাবা মারা যাওয়ার পর আমি ঢাকায় আর ব্যাক করিনি। আমার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। তিনি মারা যাওয়ার পর মা একা হয়ে যান, অসুস্থ হয়ে পড়েন, তাই আর ঢাকায় ফিরিনি।’
স্থানীয় পর্যায়ে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন সৌরভ। এ ছাড়া একটি ক্রীড়া একাডেমি পরিচালনা করছেন। সৌরভ বলেন, ‘স্থানীয় ফুটবল একাডেমির পরিচালক আমি। এ ছাড়া এগ্রিকালচারে ডিপ্লোমা করছি। পড়াশোনাও রানিং করেছি অনেক দিন গ্যাপ যাওয়ার পর। এভাবেই কাটছে।’
নিজের ব্যস্ততার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পারিবারিক ব্যবসা আছে। লোকাল রুটে আমাদের গাড়ির ব্যবসা। সেগুলো আমিই দেখাশোনা করি। আমার বড়ভাই আছেন, তিনি ঢাকায় জব করেন, সময় দিতে পারেন না। আমিই সময় দিচ্ছি। এজন্যই আমি কেশবপুরে থাকি সবসময়। এর বাইরে আপাতত আর কোনো কিছুই করছি না। ঢাকায় ফেরার চিন্তা আপাতত নেই।’
সৌরভ আরও বলেন, ‘আমি আমাদের এখানে সামাজিক কিছু সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। আমাদের ক্রীড়া সংগঠনের নাম কেশবপুর কিংস ফুটবল একাডেমি। আমি সেটারই পরিচালক। কেশবপুর পাবলিক মাঠে আমাদের একাডেমি, সেখানে প্রাকটিস হয়। গত দুমাস আগে কয়েকজন বন্ধু মিলে একাডেমিটি চালু করেছি। খুলনা থেকে একজন কোচ আসেন, তিনি প্রাকটিস করান।’
শখের বসে গান-বাজনাও করেন সৌরভ। বললেন, গান-বাজনা আমার শখ। গান নিয়ে সেই অর্থে আমি কিছু করি না। বাসায় বসে গিটার বাজাই, গান বাজনা করি। গান নিয়ে সেভাবে কিছু করার ইচ্ছা নাই। এটা জাস্ট শখ। পারি এজন্য করি বাসায় বসে বসে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, দুই বছর প্রেমের পর ২০১২ সালের ২৮ এপ্রিল শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে বিয়ে করেন ফেরদৌস কবীর সৌরভ। তখন দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন পরী। পরে তারা আলাদা হন। এক সময় সৌরভ দাবি করেছিলেন, পরীমণির একাধিক বিয়ে হলেও তাদের এখনো তালাক হয়নি। ২০১৬ সালে সর্বশেষ পরীমণির সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয় তার।