স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে হয়রানি করা হবে না।
গণমাধ্যমে নাম প্রকাশের পর কয়েকজন ব্যবসায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন বলে গুঞ্জন শোনা গেলেও তিনি তা নাকচ করে দিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে হয়রানি করা হবে না। রিমান্ডে থাকা পরীমনি কিংবা পিয়াসা কারও নাম বললেই কি হবে নাকি? যাচাই- বাছাই করতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া কথিত মডেলদের সঙ্গে সমাজের বিশিষ্টজনের নাম জড়িয়ে একটি চক্র চাঁদাবাজি করছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম।
শফিকুল ইসলাম বলেন, মডেল-অভিনেত্রী গ্রেপ্তারের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা চাই না করোনাকালে এমন আতঙ্ক ছড়াক এবং বিনা কারণে কারো সম্মানহানি ঘটুক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সে জন্য সকলকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ করেন, যদি ব্যবসায়ী মহলের কারো কাছে বা সমাজের কোনো নাগরিকের কাছে এমন তালিকার কথা বলে চাঁদা চেয়ে কেউ ফোন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে তারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায় এবং অডিও বা ভিডিও থাকলে তা যেন তদন্তের স্বার্থে সংরক্ষণ করে রাখেন।
হঠাৎ কেন অভিযান এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল গুলশান বনানীসহ অভিজাত এলাকায় একটি চক্র অশুভ কাজে জড়িত। তারা অতিরঞ্জিত কিছু করছিল। সমাজের স্বার্থে এই চক্রটিকে একটু ধাক্কা দেওয়ার দরকার ছিল। শালীনতা বজায় রেখে নিজের বাসায় যদি কেউ পার্টির আয়োজন করে, নাচগান করে এটাতো অন্যায় না।তবে পার্টির আড়ালে যদি অন্যকোনো ঘটনা ঘটে সেটা খারাপ।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌর বাসায় যাতায়াতকারী কারো তালিকা পুলিশ করেনি। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে একটি চক্র এরকম তালিকা করে চাঁদাবাজি করছে। সেই চক্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে কয়েকজন ব্যবসায়ী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
তিনি বলেন, যে কারো সঙ্গে যে কারো সম্পর্ক থাকতে পারে। সম্পর্ক থাকা কোনো বেআইনি বিষয় নয়। একজনের অর্থসম্পদ থাকলে কাউকে গিফটও করতে পারেন। কাউকে কিছু উপহার দেয়াও বেআইনি নয়। যতক্ষণ না কোনো পক্ষ থেকে মামলা হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।