চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃবহুল আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় দুদকের মামলায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘অনিক ট্রেডার্সের’ মালিকসহ দুই আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন প্রার্থনা করে। এ সময় জামিন নামঞ্জুর করে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলো- পর্দা কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স অনিক ট্রেডার্সের’ স্বত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ও জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন।
তাদের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাজাইল ইউনিয়নের মাজড়া গ্রামে। আসামিরা সম্পর্কে একে অপরের ভাই। দুদকের দীর্ঘ তদন্ত শেষে আলোচিত পর্দা কেলেঙ্কারি মামলায় তাদের বিরুদ্ধে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বে-নামে তার ভাই আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের নামে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনা করেন।
কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘আসামিরা এর আগে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে ছয় সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। সে সময় তাদের নিম্ন আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন উচ্চ আদালত। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ তারা জেলা ও দায়রা জজ মো. সেলিম মিয়ার আদালতে হাজির হয়। পরে তাদের জামিন শুনানি শেষে আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।’
এ ব্যাপারে মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাহিদ ব্যাপারি বলেন, ‘বিধি অনুযায়ী আমরা আদালতের কাছে জামিন চেয়েছিলাম, কিন্তু আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেননি। আমরা উচ্চ আদালতে গিয়ে আবারও স্থায়ী জামিন প্রার্থনা করব।’
উল্লেখ্য, গত বছর ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ (ফমেক) হাসপাতালের বহুল আলোচিত ‘পর্দা কেলেঙ্কারির’ ঘটনায় পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে প্রাক্কলন ব্যতীত উচ্চ মূল্যে হাসপাতালের অপ্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ের মাধ্যমে সরকারের ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়।
পরে ওই অভিযোগে গত ২৭ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ বাদী হয়ে ফরিদপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে অর্থ আত্মসাৎ চেষ্টার একটি মামলা করেন। মামলায় তিন চিকিৎসকসহ মোট ছয়জনকে আসামি করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ জানুয়ারি একই মামলার তিনজন চিকিৎসক ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। সে সময় আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।