৬০টির বেশি দেশের পর্যটকদের জন্য দুয়ার খুললো থাইল্যান্ড। আজ সোমবার (১ নভেম্বর) থেকেই থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবেন বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। করোনার বিধিনিষেধের কারণে ১৮ মাস ধরে থাইল্যান্ডে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল।
৬০টির বেশি দেশের পর্যটক যারা ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিয়েছেন তারা থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবেন। এখন থেকে আর এসব পর্যটকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে না।
গত মাসের শেষের দিকে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা ঘোষণা দেন যে, বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা ১ নভেম্বর থেকে কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবেন।
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরেই পর্যটকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির পর্যটন খাতে ধস নামে। এই খাত আবারও গতিশীল করতেই কোয়ারেন্টাইন ফ্রি ভ্রমণের অনুমতি দিচ্ছে পর্যটননির্ভর দেশটি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা জানান, বিমানে আসা পর্যটকরা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন ছাড়াই থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করতে পারবেন যদি তারা ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেন এবং ভাইরাসমুক্ত আছেন এমন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেন।
আগামী বছরের শেষ নাগাদ দেশটির পর্যটকের সংখ্যা দেড় কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে ৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ যোগ হবে।
তবে দেশটিতে এখনও অধিকাংশ এলাকায় কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে। এছাড়া মাত্র ৪২ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। দেশটিতে এখনও প্রতিদিন প্রায় এক হাজার মানুষ নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে।
ব্যাংকক, পুকেতসহ বিভিন্ন পর্যটন শহর ইতোমধ্যেই যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের বেশিরভাগ দেশের জন্য তাদের বিমানবন্দরের সেবা চালু করেছে। করোনা মহামারির আগে থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করা সবচেয়ে বেশি পর্যটক ছিল চীনের। ২০১৯ সালে দেশটিতে ১ কোটি ২০ লাখ চীনা নাগরিক ভ্রমণ করেছেন।