দেশের অধিকাংশ মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা পাবেনা জানিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত করোনা টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে মূল বাঁধা ভারত। তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের সঙ্গে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের একটা চুক্তি রয়েছে যে অক্সফোর্ড এই ফর্মূলা এশিয়া অঞ্চলের অন্য কোনো দেশকে দিতে পারবে না। ভারত বন্ধুর আদলে মহাজনি প্রথা চালু রাখছে এখনও।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত ‘বাংলাদেশ -ভারত সম্পর্ক ও আমাদের জাতীয় স্বার্থ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব মন্তব্য করেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, এই টিকা খুব কঠিন কিছু না। আমাদের দেশের একটা কোম্পানিও করোনা ভ্যাকসিন বানাচ্ছে। যদিও তাদেরটা এখনও পরিপূর্ণ হয়নি।
টিকা প্রাপ্তিতে সরকার নোবেল বিজয়ী ড. ইউনুস কে কাজে লাগাতে পারে উল্লেখ করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমি নিশ্চিত সরকার যদি ড. ইউনুস কে অনুরোধ করে তাহলে তিনি অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের তথ্য পেতে সাহায্য করতে পারবেন। কম্পোলসারি লাইসেন্সের আওতায় অক্সোফোর্ডের ভ্যাকসিনের সব তথ্য আমরা পেতে পারি। এবং আমাদের দেশে আগামী ৬ মাসের মধ্যে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন তৈরি হতে পারে।
গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, ভারতের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য সহোযোগিতা করেছেন। কিন্তু তারা দয়া করেন নাই, তারা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধার করেছেন। ভারত রক্ষার জন্য পঁচিশ বছর তাদের যেই ব্যয় হতো, বাংলাদেশ রক্ষার ফলে তারা এক বছরে তা উঠিয়ে নিয়েছেন। তারা আমাদেরকে কী দিয়েছে? আমাদের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, আমাদের মিথ্যাচারে রহিত করেছে।
সংগঠনের সভাপতি কে এম রাকিবুল ইসলাম রিপুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবীবুর রহমান হাবীব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপি নেতা মেজর (অব.) সরওয়ার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।