সব ধরনের অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার করাসহ চার দফা দাবিতে শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
রোববার বেলা ১১ টার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করে। এ সময় শিক্ষার্থীদের উঠিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। সেখান থেকে ৫ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।
শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় তারা ‘আমাদের দাবি, আমাদের দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’, ‘শেখ মুজিবের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁয় নাই’ ‘হই হই রই রই, শিক্ষামন্ত্রী গেল কই’ ‘এক দেশে দুই নীতি-চলবে না চলবে না’। এসব স্লোগান দিতে থাকে।
কয়েকদফা শিক্ষার্থীদের উঠে যেতে বললেও না উঠায় দুপুর ১টার দিকে শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে হিমেল উদ্দিন (২০), মেহেদী হাসান রিমন (২০), নাওহিদ আলম (২১), মো. সোহেল (২০) ও জান্নাতুন ফেরদৌসকে (২০) আটক করে পুলিশ।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে আছে— কোনোভাবেই এক বছরের ক্ষতি মানা হবে না। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম পর্বের ক্লাস চালু করে শর্ট সিলেবাসে পরীক্ষা নিতে হবে। সব ধরনের অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহার করতে হবে এবং প্রাইভেট পলিটেকনিকে সেমিস্টার ফি অর্ধেক করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে ডুয়েটসহ সব প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, করোনায় দেশের সব কিছু এলোমেলো করে দিয়েছে, দোটানায় ফেলেছে আমাদের। অবিলম্বে আমাদের অটোপাশ দিতে হবে। অতিরিক্ত ফি আদায় ও সেমিস্টার ফি কমাতে হবে। বিভিন্ন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন বৃদ্ধি করতে হবে। এসব দাবিতে আমরা মাঠে নেমেছি।
পুলিশ বলছে, এরা মূলত কোনো শিক্ষার্থী নয়, যারা জেনুইন শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ আছে। যারা সাধারণ শিক্ষার্থী তাদের সঙ্গে এদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না এবং নেই। এখন যারা রাস্তা অবরোধ করছে তারা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসছে।