রাজধানীর পল্লবীতে জমিজমা সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের জেরে প্রকাশ্যে সাহিনুদ্দিন (৩৩) নামে একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের ইন্টেলিজেন্স (গোয়েন্দা) উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।
তিনি বলেন, র্যাবের অভিযানে ভৈরব এলাকা থেকে রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ও হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মো. আউয়ালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে বিকেল ৪টায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
গত ১৬ মে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডে সাত বছরের সন্তানের সামনে শাহীন উদ্দিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ মে বিকেল ৪টায় সুমন ও টিটু নামে দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪/১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় শাহীনের সাত বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে তাকে সন্ত্রাসীরা চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ফের কুপিয়ে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
নিহতের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, পল্লবীর সেকশন-১২ বুড়িরটেকস্থ আলীনগর আবাসিক এলাকার হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেডের এমডি এবং লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাড়া করা স্থানীয় সন্ত্রাসীরা শাহীনকে হত্যা করেছেন। আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ১০ একর জমি জবরদখলে বাধা দেয়ায় খুন হতে হয় তাকে।