সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বহুল সমালোচিত নারী ঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ভিডিও ফাঁস হওয়ায় পাইকগাছা উপজেলার লতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অপসারণসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে খুলনা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে। মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে অর্ধশত ব্যক্তির গণস্বাক্ষরিত অভিযোগটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়।
অভিযোগে জানানো হয়, আওয়ামী যুবলীগের পাইকগাছা উপজেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরিষদ ও গ্রাম্য শালিস বিচারে সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে অর্থ বাণিজ্য করে আসছে। তাছাড়া একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ রয়েছে। যা সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচার হয়ে নেট জগতে ভাইরাল হয়েছে। তার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নসহ ইউনিয়নবাসী লজ্জিত। তাই তার অপসারণসহ শাস্তির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন পূর্বে লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাস ও এক যুবতীর মধ্যে অনৈতিক ভিডিও ফাঁস হলে গোটা এলাকায় তোড়পাড় সৃষ্টি হয়। এ ভিডিওটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে সোশ্যাল মিডিয়া সমালোচনা ও পত্র-পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
সর্বশেষ ইপি চেয়ারম্যানের অপসারণ ও শান্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগমের কাছে অভিযোগ হয়েছে।
এ বিষয়ে লতা ইউপি চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ ইউসুপ আলী বলেন, লতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজল কান্তি বিশ্বাসের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পেয়েছি। পাশাপাশি আজকের অভিযোগটিও আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে।