পাইকগাছায় কৃষকলীগের সদ্য ঘোষিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেণ উপজেলার গড়ইখালী ইউনিয়ন কৃষকলীগের আহবায়ক মোঃ কামরুল ইসলাম গাইন।
সাংবাদিক সম্মেলনে কামরুল ইসলাম গাইনের বক্তব্য হুবাহু তুলেধরা হল। আমি জন্মগতভাবে আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার পিতা মোঃ কেসমত আলী গাইন দীর্ঘ ৪০ বৎসরের অধিককাল যাবৎ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। লোভ এবং লালসায় জীবনে কখনও অন্য রাজনৈতিক দলে জড়িত হয় নাই। আমি ও আমার পরিবার একই আদর্শ ধারণ করে দলীয় সকল কর্মসূচী ও কর্মকান্ড আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করে আসছি। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় একাধিক মামলারও সম্মুখীন হয়েছি। আমার পিতার বয়স ৭০ বৎসরের অধিক। তিনি বর্তমানে গড়ইখালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য। আমি বাংলাদেশ কৃষকলীগ গড়ইখালী ইউনিয়ন শাখার আহবায়ক কমিটির আহবায়ক। দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছি। আমার মেঝ ভাই মোঃ আজমুল হোসেন গাইন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি এবং আরেক ভাই বাবুল হোসেন বাবু গাইন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষকলীগ পাইকগাছা উপজেলা আহবায়ক কমিটি এক বর্ধিত সভা আহবান করে। কিন্তু অতি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক/সদস্য সচিব/ কোন সদস্য আমাদের গড়ইখালী ইউনিয়ন কৃষক লীগের কোন সদস্যকে না জানিয়ে অগঠণতান্ত্রিকভাবে গোপনে গড়ইখালী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি ঘোষণা করে। যা আমি পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি।
আমি ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের দলীয় নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে পাইকগাছা-কয়রার এক বিশেষ ক্ষমতাধর নেতার নগ্ন হস্তক্ষেপ বা চাপে কৃষকলীগ থেকে আমাকে সরিয়ে দিতে নীল নকশার মাধ্যমে উক্ত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠণ করা হয়েছে বলে আমি মনে করি।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে দেখতে পাই যে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিল্পব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান যে, “বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কোন শাখা কমিটি উক্ত শাখার সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠণের কোন কমিটি বিলুপ্ত বা বাতিল করতে পারবে না। সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠণের কোন শাখা কমিটি বিলুপ্তি বা বাতিল করার ক্ষমতা কেবলমাত্র ঐ সংগঠণের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের।” কিন্তু কোন নির্দেশনা না মেনে উপজেলার গড়ইখালী ও পৌরসভা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠণ করা হয়েছে। যেটি সম্পূর্ণ অগঠণতান্ত্রিক ও মনগড়া। এমনকি যাদেরকে আহবায়ক ও সদস্য সচিব করা হয়েছে- যথাক্রমে শক্তিপদ মন্ডল ও ইমতিয়াজ গাজী। আমার জানামতে, আওয়ামীলীগ সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠণের কোন পদ/ সদস্য পদে আগে ছিল না বা এখনও নেই। এমন ব্যক্তিদের মাধ্যমে কৃষকলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি করায় আমি সহ ইউনিয়নের প্রকৃত আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষক লীগ, গড়ইখালী ইউনিয়ন শাখার অবৈধ, অগঠণতান্ত্রিক সদ্য ঘোষিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিল সহ কমিটি ঘোষণাকারীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি।