পাইকগাছায় লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার কে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে থানাপুলিশ। এ ঘটনায় ধর্ষণ মামলা হয়েছে। পুলিশ ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কয়রা উপজেলার খিরোল গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম সরদারের পুত্র মোঃ হাবিবুর রহমান (৫৫) পাইকগাছা উপজেলাধীন লস্কর-পাইকগাছা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার হিসেবে প্রায় দেড় বছর চাকরীরত রয়েছে। গত সোমবার সকাল ৬টার দিকে মাদরাসার পার্শ্ববর্তী ছাত্রীর বাড়ীতে যায় এবং তাকে মাদরাসায় এসাইনমেন্ট আনার জন্য বলে চলে আসে।মেয়েটি ৮টার দিকে মাদরাসায় গেলে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ শয়ন কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ীতে এসে মেয়ের নানীকে ঘটনা খুলে বলে। পরদিন মঙ্গলবার এলাকাবাসীর সহায়তায় থানায় এসে জানায়। পাইকগাছা থানারর ওসি ঘটনা শুনে বুঝে ওসির নির্দেশে মাদরাসার সুপার হাবিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনে। এ ঘটনায় ভিকটিমের নানী বাদী হয়ে বুধবার পাইকগাছা থানায় ধর্ষণ মামলা করে, যার নং- ০২, তারিখ- ০২/১২/২০২০ইং। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি তদন্ত অাশরাফুল অালম জানান ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছি। সুপার হাবিবুর রহমান জানান, কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ওসি এজাজ শফী জানান, ধর্ষণের অভিযোগে সুপারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।