ইমদাদুল হক:: পাইকগাছায় তীব্র শীত ঘনো কুয়াশা আর শৈত প্রবাহে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের বোরো বীজতলা ও রোপনকৃত চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শৈত প্রবাহ ও মাঝে হালকা বৃস্টির কারণে চাষকার্যে নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।খামারে বোরোর আবাদ পুরাদমে চলছে।
খামার সুত্রে জানা গেছে, হটাৎ করে তীব্র শীত আর ঘোন কুয়াশা শুরু হওয়ায় কৃষি কাজে যেমন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি বীজতলা ও রোপনকৃত ধানের চারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। খামারে ব্রি ধান ৬৭ এর রোপনকৃত প্রায ১০ একর জমির চারা লাল হয়ে মরে গেছে।এর মধ্যে ৫ একর পুনরায় রোপন করা হয়েছে আর বাকী ৫ একরে মরে যাওয়া চারার স্থানে নতুন চারা রোপন করা হয়েছে। তীব্র শীত আর ঘনো কুয়াশায় থাকায় সূর্যের আলো না পাওয়ায বীজতলার চারাও লালছে রং ধারণ করেছে।
এ ব্যাপারে বোয়ালিয়া বীজ উৎপাদন খামারের সিনিয়র সহকারি পরিচালক কৃষিবিদ নাহিদুল ইসলাম বলেন, খামারে প্রায ৫৫ একর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রিধান ৬৭ জাতের ৪০ একর ও ব্রিধান ৮৯ জাতের ১৫ একর জমিতে ধান রোপন করা হচ্ছে। বীজ তলা তৈরির পরই তীব্র শীত ও ঘনো কুয়াশা শুরু হয়। এতে সূর্যের আলো না পাওয়ায চারা খাদ্য তৈরি ও শিকড় বাড়তে না পারায় রোপনকৃত চারা লালছে রং হয়ে মরে যাচ্ছে। আর তিব্র শীতে কুয়াশায় শিশিরের পানি ও লবনাক্ততায় রোপন কৃত চারার গোড়া পচে মরে যাচ্ছে। ছত্রাকনাশক ও কিটনাশক ব্যাবহার করার পরও কোন উন্নতি হচ্ছে না। প্রতিদিন বীজ তলার পানি বদল ও কুয়াশার পানি চারার পাতা থেকে ফেলে দিয়ে পরিচর্যা করা হচ্ছে। তবে রোপনকৃত চারা ও বীজতলা ভালো করার জন্য সব ধরণের পরিচর্যা ও চেস্টা অব্যহত রয়েছে।