পাইকগাছায় গৃহবধূ ধর্ষনের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার প্রতিপক্ষের হামলায় কুশিলাল মন্ডল (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছে। এ হামলায় নিহত বৃদ্ধের ছেলে কৃষ্ণ মন্ডল (৪০) গুরুতর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পিতা-পুত্রকে আটক করেছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বসতবাড়ীর ঘেরার নেটজাল তোলাকে কেন্দ্র করে বাঁধা দিতে গেলে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারপিটে উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
থানা পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাগেছে, নিহত কুশিলাল মন্ডল ও তার আপন বড়ভাই রনজিৎ মন্ডল ওরফে লব (৭৯) এর সাথে বসতবাড়ীর জায়গা-জমি নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছে। এক বছর আগে কুশিলাল এর পরিবার তাদের বসতবাড়ীর সীমানা নেটজাল দিয়ে ঘিরে দেয়। ঘটনার দিন রাতে প্রতিপক্ষ রণজিৎ মন্ডল ও তার ছেলে গোবিন্দ মন্ডলরা দুই পরিবারের বসতবাড়ীর সিমানার নেটজাল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে এসময় কুশিলালের পরিবার বাঁধা দিতে গেলে গোবিন্দ মন্ডলরা এদের উপর উপর হামলা করে মারপিট করে। এসময় প্রতিপক্ষের হামলায় মাথায় আঘাত পেয়ে বৃদ্ধ কুশিলাল মন্ডল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং ছেলে কৃষ্ণ মন্ডল মাথা গুরুতর জখম হয়।পরে স্থানীয় লোকজন আহত ছেলেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ খবর পেয়ে ওই রাতেই সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ডি সার্কেল সাইফুল ইসলাম ও ওসি ওবাইদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে আহত কৃষ্ণ’র স্ত্রী সুশিলা জানান, হাঁস-মুরগী,ছাগল ঠেকাতে আমারা বসতবাড়ীর সামনের সীমানা নেটজাল দিয়ে ঘিরে দেয়। ঘটনার সময় গৌবিন্দ নেটজাল তুলে দিলে আমি প্রতিবাদ করি। এতে উভয়ের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক শুরুর এক পর্যায়ে সে আমার চুলের মুঠো ধরে চড়-থাপ্পড় মারে। এসময় আমার স্বামী এবং শ্বশুর এগিয়ে এলে প্রতিপক্ষ গৌবিন্দ ও বিশ্বজিৎ তারা দুই ভাই সহ তাদের পরিবারের লোকজন বেদম মারপিট করে। তাদের লাঠির আঘাতে শশুর কুশিলাল ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং স্বামী কৃষ্ণ মন্ডল গুরুতর আহত হয়। ওসি ওবাইদুর রহমান বলেন এ ঘটনায় নিহতের ছেলে কৃষ্ণ মন্ডল বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে।
এ মামলায় নিহতের বড় ভাই রনজিৎ মন্ডল ও তার ছেলে গোবিন্দ মন্ডল (৫৫)কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত রোববার গভীর রাতে উপজেলার রাড়ুলীতে মধ্যবয়সী এক নারী ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি এ প্রতিনিধিকে বলেন, ভিকটিম নারী অনেকটা সুস্থ্য হয়েছেন এবং এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।