“ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমাতে পরিবারের সবাইকে সচেতন করুন” এই প্রতিপাদ্যেকে সামনে রেখে খুলনার পাইকগাছায় বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস পালিত হয়েছে।
শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও পাইকগাছা ডায়াবেটিস সেন্টারের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করে। র্যালিটি উপজেলা পরিষদের মুল ফটক থেকে শুরু করে উপজেলা সদরের প্রধান-প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে শেষ হয়। পরে প্রেসক্লাবে হল রুমে ডায়াবেটিস সচেতনতায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ শেখ মোঃ শহিদুল্লাহ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সবেক সংসদ সদস্য এ্যাড.সোহরাব আলী সানা। সম্মানীয় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। সমিতিরি সম্পাদক মিলন রায় চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রশিদজ্জামান মোড়ল, উপজেলা চেযারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লিপিকা ঢালী, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর প.প কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার, ডাঃ প্রশান্ত কুমার দাশ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এফএমএ রাজ্জাক।
অন্যান্য দের মধ্য উপস্থিত ছিলেন, ইউপি চেয়ারম্যান গাজি জুনায়েদুর রহমান, পাইকগাছা সরকারি কলেজের প্রিন্সিপাল বিহির বরণ মন্ডল, পাইকগাছা ষোলআনা সমবায় সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস হোসেন, হাঁটার সাথী পাইকগাছার সভাপতি মোঃ মোশারাফ আলম খান বাচ্চু, কাউন্সিলর কবিতা দাশ, সাংবাদিক মোসলেম উদ্দিন, বাবুল আক্তার, আলাউদ্দিন সোগাগ, জি এম মিজান, আলাউদ্দিন রাজা, আসাদুল ইসলাম, বিভাসেন্ধু, স্নেহবিন্দু বিকাশ, পল্লব কুমার নাথ, নাজমুস সাকিব নিশান, চয়ন দেবনাথ ও রাজীব আহম্মেদ সহ পাইকগাছা ডায়াবেটিস সমিতির সকল সদস্য বৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়াবেটিস। এটি কেবল ধনী দেশের রোগ নয়, উন্নয়শীল দেশে বেশি ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও টাইপ-২ ডায়াবেটিস ৭০ শতাংশ সম্পূর্ণ প্রতিরোধ করা যায়। তবে তা অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার আগে। আর এই রোগ একবার হলে সেটা পুরোপুরি ভালো হয় না, তখন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। তাছাড়া ডায়াবেটিস আছে এমন রোগীদের মধ্যে অন্তত ৫০ শতাংশ জানেন না যে, তার ডায়াবেটিস আছে। এজন্য জনসচেতনতা বাড়ানো খুবই জরুরি। শৃঙ্খলা ও খাদ্য নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস ৮০ ভাগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব, ওষুধের ভূমিকা এখানে খুব কম। আবার শুধু ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ খুবই কঠিন। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা একটি সমন্বিত সামাজিক পদক্ষেপ। সরকার, চিকিৎসক, কোনো প্রতিষ্ঠান বা কারও একার পক্ষে কখনো এই বিপুল কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ‘পরিমিত খাবার ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমেই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে একটি সুস্থ, কর্মোদ্যম ও প্রাণবন্ত জীবন গড়ে তোলা সম্ভব। বক্তারা আরো বলেন,পরিমিত খাবার গ্রহণ, নিয়মিত শরীর চর্চা ও দুঃচিন্তা মুক্ত থেকে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাসহ ডায়বেটিস বিষয়ে সচেতনা মুলক বিভিন্ন গুরুত্ব পূর্ণ আলোচনা করেন ।
আলোচনা সভা শেষে মজিদ বয়াতির জারিগান দল ডায়াবেটিস এর উপর সচেতনতা মূলক জরিগান পরিবেশন করেন।