ইমদাদুল হক:: কথায় বলে মাঘের শীত বাঘের গায়ে, কিন্তু এ বছর পৌষের শেষ লগ্নে সারা দেশের ন্যায় খুলনার দক্ষিঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের শেষ ভাগে এসে শৈতপ্রবাহ ও হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। খুলনা জেলায় বিস্তৃত হচ্ছে শীতের দাপট। উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়া তার সাথে বৃষ্টির মতো ঝরতে থাকা ঘন কুয়াশায় স্থবির হয়ে পড়েছে জন জীবন। এর সাথে অনবরত বইতে থাকা উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীতার্ত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দুর্ভোগে পড়েছেন অসহায় ছিন্নমূল এবং নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
টানা কয়েক দিনের তীব্র শীতে ব্যাহত হচ্ছে দৈনন্দিন কার্জক্রম। সবচেয়ে কষ্টে আছে শিশু ও বয়বৃদ্ধ মানুষ। শীতের প্রকোপ অসহনীয় হয়ে উঠায় গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। গ্রামের মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। গতকাল সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছে না।
দিনমজুররা কাজে বের হতে পারছেন না। শীতের কারণে অনেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন।শীতে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ফসলের বীজতলা ঠিকমতো পরিচর্যা করা যাচ্ছে না। কুয়াশায় বোর ধানের চারা নষ্ট হওয়ায় আশংখায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় খুলনার পাইকগাছার বিভিন্ন বিপণি বিতান ও ফুটপাতে শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। আর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানান ক্রেতারা।
কৃষক সায়েব আলী জানান, ঘন কুয়াশা, ঠান্ডা বাতাসে হাড় কাঁপানো শীতে আমাদের মাঠের কাজ কর্ম ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জবুথবু অবস্থার মধ্যে রয়েছি আমরা গরিব মানুষেরা। শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
শীতে মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু-পাখিরও কাহিল অবস্থা। বোরো বীজতলা শীতের কারনে লালছে ও ফ্যাংগাসে হয়ে যাচ্ছে।আর কয়েকদিন এ রকম শৈত প্রবাহ থাকলে বীজতলাসহ ফসলের ক্ষতির আশংখায় রয়েছি আমরা।