সফল হতে কতবারের প্রচেষ্টা লাগে? বাংলায় প্রচলিত একটা কথা আছে, একবার না পারিলে দেখো শতবার। বাংলাদেশের জন্য এ কথাটাকে ঘুরিয়ে শতবারের জায়গায় ১৪ বার বললেও বোধহয় খুব বেশি ভুল হবে না! পাকিস্তানের সঙ্গে এর আগে ১৩টি টেস্টে খেলে কখনই জিততে না পারা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সাফল্য ছিল একটি টেস্ট ড্র করা, সেটাও দেশের মাটিতে। পাকিস্তান সফরে খেলা পাঁচটি টেস্টের সবগুলোতেই শূণ্যহাতে ফিরেছে বাংলাদেশ।
অবশেষে ১৪ তম টেস্টে এসে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা পেয়েছে নাজমুল হাসান শান্তর দল। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের শেষ দিনে স্বাগতিকদের ১০ উইকেটে হারিয়ে ইতিহাস লিখেছে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আলীকে মেহেদী হাসান মিরাজ যখন এলবিডব্লিউ আউট করলেন, সব উইকেট হারানো স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে তখন ১৪৬ রান। অর্থাৎ পাকিস্তানের মাটিতে ইতিহাস লিখতে বাংলাদেশের দরকার ‘মাত্র’ ৩০ রান। সে রান নিতে বাংলাদেশের দরকার হলো মোটে ৬.৩ ওভার।
রান তাড়ায় নেমে শাহিন আফ্রিদির প্রথম ওভারে এক বাউন্ডারিতে ৭ রান নেন ওপেনার জাকির হাসান। পরের দুই ওভার একটু দেখে শুনে খেলেন দুই ওপেনার। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে নাসিম শাহের শেষ দুই বলে বাউন্ডারি মেরে বাংলাদেশকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান সাদমান ইসলাম।