নিজস্ব প্রতিবেদক
গাইবান্ধায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে। বৃহস্পতিবার বেলা একটা পর্যন্ত সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথে ট্রেন যোগাযোগ চালু হয়নি। সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ত্রিমোহিনীতে প্রায় ছয় কিলোমিটার অংশ ডুবে থাকায় গতকাল বুধবার বেলা ১১টা থেকে এই পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।
আজ দুপুরে গাইবান্ধা রেলস্টেশন মাস্টার আবুল কাশেম বলেন, সকাল থেকে বিকল্প উপায়ে ট্রেন চলাচল করছে। গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলস্টেশন থেকে সান্তাহার এবং গাইবান্ধা রেলস্টেশন থেকে লালমনিরহাট ও দিনাজপুরের মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এভাবে ট্রেন চলাচল করবে।
এদিকে ঘাঘট নদের পানির চাপে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের একটি সেতু দেবে যাওয়ায় গত মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে জেলা শহরের সঙ্গে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার মধ্যে যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। অন্যদিকে, গাইবান্ধা জেলা শহরের সঙ্গে সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। গাইবান্ধা-বালাসি সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। আজ সকালে নতুন করে গাইবান্ধা শহরের পার্ক রোড, ডিবি রোড, পিকে বিশ্বাস রোডে পানি উঠেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, বন্যার পানি ওঠায় জেলার চারটি উপজেলায় আরও ৬৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আজ থেকে পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে। এ নিয়ে চারটি উপজেলায় মোট ২১৬টি বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত আছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বিকেলে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ১৫০ সেন্টিমিটার এবং ঘাঘট নদের পানি ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আজ দুপুরেও একই অবস্থা ছিল। তবে তিস্তার পানি কমেছে। করতোয়া নদীর পানি ১ সেন্টিমিটার বেড়েছে। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত আছে।