পারফিউম বা বডি স্প্রে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ। পারফিউম ব্যবহারের কিছুক্ষণ পরই সুগন্ধ আর থাকে না। সুগন্ধি ব্যবহার করার নির্দিষ্ট কিছু জায়গা আছে, সেসব জায়গায় সুগন্ধি ব্যবহার করলে অনেকক্ষণ ধরে প্রিয় সুঘ্রাণ ঘিরে রাখবে আপনাকে।
পারফিউম ব্যবহারের পরও দীর্ঘ সময় সুঘ্রাণ ধরে রাখার কৌশল নিয়ে প্রতিবেদন করেছে ডেইলি মেইল। সেই আলোকে এ বিষয়ে বিস্তারিত দেওয়া হলো।
* গোসলের ঠিক পর পরই পারফিউম বা ব়ডি স্প্রে ব্যবহার করবেন। এতে করে সুঘ্রাণ দীর্ঘ সময় থাকে।
* চিবুকের নিচে গলার দুপাশে পারফিউম ব্যবহার করুন। এতে গন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সঙ্গে তীব্রও হবে। এ ছাড়া বুকের দুপাশেও বডি স্প্রে করুন।
* কবজি ও কনুইয়ে পারফিউম ব্যবহারের ভালো জায়গা। কারণ দেহের এই জায়গাগুলোর উষ্ণতা অন্যান্য স্থানের চেয়ে বেশি।
*পারফিউম ব্যবহারের আগে হাতের কব্জি বা ত্বকে ভেসলিন লাগিয়ে নিন। এতে আর্দ্র ত্বকে সুগন্ধ আটকে থাকে দীর্ঘক্ষণ।
* পারফিউম ব্যবহারের পর ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিলে সুগন্ধ স্থায়ী হয়। ত্বকের যে অংশে পারফিউম বা সুগন্ধী লাগিয়েছেন তার ওপর নন-সেন্টেড ময়শ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
* শরীরের পালস পয়েন্টগুলো হচ্ছে পারফিউম দেওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা। কব্জি, কনুই ছাড়াও হাঁটুর পেছনে, পায়ের গোড়ালি, নাভির কাছে, কানের পেছনে পারফিউম লাগালে সেই ঘ্রাণ স্থায়ী হয় বেশ কিছুটা সময়।
* দিনেরবেলায় তুলনামূলক ভারী সুগন্ধি ব্যবহার করুন। কারণ দিনের বেলায় অনেকটা সময় ধরে সুগন্ধির প্রয়োজন। রাতের বেলায় হালকা সুগন্ধি লাগান।
*কাপড়ের ওপরে নয়, বরং শরীরের পালস পয়েন্টগুলোতে পারফিউম ব্যবহার করুন। কাপড়ের ওপরে পারফিউম ব্যবহারে অনেক সময় দাগ বসে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে।
*পারফিউম দেওয়ার সময় বোতল শরীর থেকে ৫-৭ ইঞ্চি দূরত্ব বজায় রাখুন।