কঠোর বিধিনিষেধের নবম দিনে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকটাই ঢিলেঢালা ছিলো রাজধানীর পরিবেশ। অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল ছিলো কম। পায়ে হেঁটে রাজধানী থেকে বের হতে ও ঢুকতে দেখা গেছে অনেক মানুষকে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভিন্ন স্থানে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে।
শুক্রবার (৯ জুলাই) রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলীতে পায়ে হেঁটে ঢুকতে দেখা যায় অনেক মানুষকে। অনেকে আবার বেরও হচ্ছেন বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে। তবে তাদের সবারই বাহন রিকশা।
এক নারী বলেন, ‘প্রাইভেটকার ভাড়া করে এসেছি। চেকপোস্ট দেখে আগেই নেমে গেছি।’ আরো এক ব্যক্তি বলেন, ‘ডাক্তার চশমা পরিবর্তন করে দিয়েছে। সেটা নিতে বের হয়েছি।’
এক তরুণ বলেন, ‘জানি বের হওয়া নিষেধ। কিন্তু কেউ অসুস্থ হলে তো তাকে দেখতে যেতে হয়। না হলে তো হয় না।’
এদিকে, রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দেখা গেছে। ব্যক্তিগত গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় যাত্রীদের।
এক ব্যক্তি জানান, ‘আমরা যাত্রী নিয়ে বিমানবন্দরে এসেছিলাম। সব কাগজ ঠিক থাকলেও আমাদের আটকে রেখেছে।’
এক গাড়িচালক বলেন, ‘মাস্ক পরিনি তাই গাড়ি আটকে দিয়েছে।’
এক বাইক চালক বলেন, ‘আমি বের হয়েছিলাম আমার এক অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে। কালিয়াকৈর গিয়েছিলাম। এখানে চেকপোস্টে আমাকে আটকিয়েছে।’
গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পরীক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিও নজরে রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ডাক্তার, রোগী ও জরুরি ভিত্তিতে যে সকল প্রতিষ্ঠান খোলা যেমন পোশাক শিল্প, এগুলো চলার অনুমতি আছে। এগুলো ছাড় দেয়া হয়েছে। এর বাইরেরগুলোকে মামলা দেয়া হচ্ছে।’