সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা শনিবার , ৬ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
পিতার অপমানের দায় কন্যাকেই নিতে হবে | চ্যানেল খুলনা

পিতার অপমানের দায় কন্যাকেই নিতে হবে

১৫ আগস্ট ছিল গতকাল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম প্রধান নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন এদিন। গত ১৬ বছর এ দিনটি ছিল ক্ষমতাসীনদের শোক ও মাতমের। চারদিকে মাইকে উচ্চ ভলিউমে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে রেসকোর্স ময়দানে শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ শোনানো হতো। কোথাও কোথাও রাত গভীর থেকেই এ ভাষণ-যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে মানুষকে। দেশজুড়ে চলত খিচুড়ি-উৎসব। এই খিচুড়ির জন্য চাঁদাবাজির অর্থে কোন নেতা কয়শ গরু বরাদ্দ করেছেন, তা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিকমাধ্যমে ফলাও হয়ে সামনে আসত।

সংবাদমাধ্যমও কম যায়নি। টেলিভিশনগুলো মাসজুড়ে শোকে মুহ্যমান থেকেছে! সংবাদপত্রগুলোও পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা শোকগাথা রচনা ও প্রকাশ করেছে। প্রতিটি সংবাদপত্রের মাস্টহেড থেকে শুরু করে প্রিন্টার্স লাইন পর্যন্ত ছিল মুজিব-বন্দনা। ঢাউস ছবিসহ বিজ্ঞাপন ও নিবন্ধে মোড়ানো সংবাদপত্রগুলোতে এদিন অন্য কোনো সংবাদ স্থান পেত না বললেই চলে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো ১৬ বছরে শোক প্রকাশ বাবদ কত হাজার কোটি টাকা শ্রাদ্ধ করেছে, তার হিসাব কষা দুষ্কর।

রাষ্ট্রের পোশাকি বাহিনীগুলোও একাকার হয়ে গিয়েছিল এ মাতমে। এই দিন ঘিরে চাঁদাবাজি অলিখিত বৈধতা পেয়েছিল। ব্যবসায়ীদের গুনতে হতো কোটি কোটি টাকা। অনেকটা ‘চাহিবা মাত্র দিতে বাধ্য থাকিবে’ ধরনের। শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের ব্যানার টানিয়ে মঞ্চে উন্মাতাল নৃত্যোৎসবও দেখা গেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিও। গোটা রাষ্ট্রযন্ত্রের আগস্ট মাসজুড়ে শোকের মাতম এতটাই প্রবল ছিল যে, কেউ এ নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া, বিরক্তি বা অপছন্দ করলেও তা প্রকাশ করা ছিল দণ্ডণীয় অপরাধ। ‘বঙ্গবন্ধুকে অপমানে’র অভিযোগ তুলে কত মানুষকে যে অপদস্থ করা হয়েছে, চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, গ্রেপ্তার ও সাজা দেওয়া হয়েছে তার কোনো ইয়ত্তা নেই। ১৫ বছরে যতগুলো নিবর্তনমূলক আইন হয়েছে, প্রত্যেকটিতে শেখ মুজিব ও তার পরিবারের বিষয়ে কেউ সমালোচনা করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান সন্নিবেশ করা হয়েছে।

এবার একটি ভিন্ন রাজনৈতিক পরিবেশে দিনটি অতিবাহিত হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট ইতিহাসের দীর্ঘতম আওয়ামী দুঃশাসনের পতন ঘটেছে। পালিয়ে গেছেন দাম্ভিক ও নিষ্ঠুর শাসক, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক, আলোচিত জোকার চরিত্র ওবায়দুল কাদেরও নিখোঁজ। অন্য নেতারা কেউ গ্রেপ্তার হয়ে রিমান্ড ও বিচারের মুখোমুখি, আবার অনেকে দেশ-বিদেশে আত্মগোপনে। অবিস্মরণীয় গণঅভ্যুত্থানের পর সারা দেশে যে গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল, তার সহিংস প্রতিক্রিয়ায় সারা দেশে শেখ মুজিবের প্রায় সব ভাস্কর্য ও নামফলক ভেঙে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে জাদুঘরে রূপান্তরিত ‘বঙ্গবন্ধু ভবনে’ অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে।

এরই মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করেছে। রাজনৈতিক দল ও গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী ছাত্রনেতাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার এ ছুটি বাতিল করতে বাধ্য হয়। ১৫ আগস্টে শোকের পরিবর্তে পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ছাত্ররা। অবশ্য এর পটভূমি তৈরি করে দেন ভারতে পলাতক শেখ হাসিনা ও তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। তারা অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নানা হুংকার দেন। ১৫ আগস্ট ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঠে নেমে ‘প্রতিবিপ্লব’ সংঘটিত করার ডাক দেন। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র-জনতা মাঠ দখলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। ১৪ আগস্ট রাতভর ৩২ নম্বরের সামনে ও আশপাশে লাখো ছাত্র-জনতা অবস্থান নেয়। তারা পাল্টা-অভ্যুত্থান অপচেষ্টার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। ১৫ আগস্ট দিনভরও সে অবস্থান অব্যাহত রাখা হয়।

এবারের ১৫ আগস্টে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে অস্পষ্টতা ছিল। গত মঙ্গলবার সজীব ওয়াজেদ জয় তার মায়ের পক্ষে নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে ভাবগম্ভীর পরিবেশে শোক দিবস পালনের আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ নিবন্ধ লেখার সময় ১৫ আগস্ট বেলা ১১টার খবর হচ্ছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনেসহ গোটা এলাকা ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে উত্তাল। তারা শেখ হাসিনা সরকারের গণঅভ্যুত্থান-পূর্ব গণহত্যার বিচার দাবিতে স্লোগানে মুখর করে রেখেছে ওই এলাকা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ‘মার্চ টু ধানমন্ডি ৩২ নম্বর’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হলেও কোনো নেতাকর্মীকে সেদিকে দেখা যায়নি বলে অনলাইন গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। সংঘাতের আশঙ্কায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গোটা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে।

অর্থাৎ নতুন বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১৫ আগস্টের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। এটাকে আওয়ামী লীগের জন্য ২০০৭ সালে ওয়ান ইলেভেন-পূর্ব সময়ের চেয়েও খারাপ বলা যায়। শেখ মুজিবের ম্যুরাল, প্রতিকৃতি বা অন্য যেসব স্থাপনা ভাঙচুর হয়েছে, তা কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ করেছে এমনটা দেখা যায়নি। কিশোর, তরুণ এমনকি শিশুদের পর্যন্ত ভাঙচুরে অংশ নিতে দেখা গেছে। গত ১৫ বছরে প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের পরতে পরতে, কারণে-অকারণে, প্রাসঙ্গিক কিংবা অপ্রাসঙ্গিকভাবে শেখ মুজিব, ‘বঙ্গবন্ধু’, ‘জাতির পিতা’কে এককভাবে মহিমান্বিত করার হেনচেষ্টা নেই যা করা হয়নি। রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা খরচ করে চলচ্চিত্র, প্রামাণ্য চিত্র, ট্রেলর, অগণিত পুস্তক ও প্রকাশনার মাধ্যমে যেই নেতাকে নতুন প্রজন্মের মানসে দেবতা রূপে প্রোথিত করার চেষ্টা হয়েছে, তা কি সফল হয়েছে? উত্তর এখন সবার জানা। জোর করে যে শ্রদ্ধা, সম্মান, ভালোবাসা আদায় করা যায় না, তা আমরা গত দেড় দশক ধরেই বলে আসছিলাম।

একটি চাটুকার শ্রেণি গদ্য, পদ্য রচনা করে অরুচিকর বন্দনার মাধ্যমে মুজিব পরিবারকে তুষ্ট করে বেপরোয়া লুটপাট, স্বেচ্ছাচার, অনাচার করতে দেখা গেছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক নিয়োগে মেধার পরিবর্তে বাপের স্তুতিতে কে কতটা পারঙ্গম তা মাপকাঠি হয়ে উঠেছিল। সিভিল প্রশাসনে অপকর্মের লাইসেন্স পেয়ে যান মুজিব ও তার পরিবারের স্তুতিবাজরা। সংবাদমাধ্যমকে বাধ্য করা হয়, একজন ছাড়া অন্য কারও কোনো অবদানকে যাতে ন্যূনতম স্বীকৃতিও দেওয়া না হয়।

মতাদর্শ ও বিশ্বাস যা-ই হোক, ১৫ আগস্টে শোকে কাতর হওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে যায়। চাঁদাবাজিনির্ভর অনুষ্ঠানগুলোতে অংশ নেওয়া, উপস্থিত থাকা, বিলাপ করা বাধ্যবাধকতায় পরিণত করা হয়েছিল। তাতে ইন্ধন জোগানোর জন্য একশ্রেণির লেখক, সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীর বাম্পার ফলন হয়েছিল। ভিন্নমতকে দেশদ্রোহিতা হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল। বহু আমলা-কামলা এসবে উৎসাহ ও নেতৃত্ব দিয়ে ভাগ্য বদলে নিয়েছেন। বাগিয়েছেন প্রমোশনের পর প্রমোশন।

শুধু শেখ মুজিবুর রহমানই নন, একটা পর্যায়ে এসে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্য, যাদের মুক্তিযুদ্ধে উল্লেখ করার মতো কোনো অবদান বা অংশগ্রহণই ছিল না, তাদের জন্মদিন, মৃত্যুদিনে বানোয়াট গল্প রচনা করে গেলানোর অপচেষ্টা মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। নির্মোহ পর্যবেক্ষণে দেখা যাবে—শেখ মুজিবের ম্যুরাল, ভাস্কর্য বা প্রতিকৃতিতে ছাত্র-তরুণের আঘাত শেখ মুজিবের প্রতি আক্রোশ থেকে হয়নি, হয়েছে তার কন্যার দম্ভ, আস্ফালন, গুম, খুন, নিপীড়ন, লুটপাটের যে বীভৎস প্রতিকৃতি, তার ওপর। দেড় দশক ধরে যে মুজিবের বিষয়ে স্তুতি করাই কেবল কর্তব্য হয়ে উঠেছিল, বিন্দুমাত্র সমালোচনাও অনুমোদিত ছিল না, জবরদস্তি সম্মান আদায়জনিত পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে প্রথম সুযোগেই।

কোনো মানুষই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। শেখ মুজিবও রক্ত-মাংসের মানুষ ছিলেন। তিনি চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাধিকার আন্দোলনের সংগঠক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বদানকারী নেতা যেমন ছিলেন, তেমনি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে তার শাসনকাল অনেক ব্যর্থতা ও প্রতিপক্ষকে নিপীড়নের সাক্ষী হয়ে আছে। গণতন্ত্রের পরিবর্তে ভিন্নমত দলন-নিপীড়নের জন্য কালিমালিপ্ত। সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়ে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে, রাজনৈতিক দলগুলো বিলুপ্ত করে বাকশালী শাসন কায়েমের জন্য সমালোচিত এবং ধিকৃতও বটে।

স্বাধিকার আন্দোলনের অবিসংবাদিত রাজনৈতিক নেতা ও আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জীবনবাজি রেখে স্বাধীনতা ঘোষণা করে সরাসরি যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানীর অবদান অস্বীকার করা হয়েছে। তাদের ভিলেন বানানোর নিরন্তর চেষ্টা যে মানুষ ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, তা ক্ষমতার মদমত্ততায় বুঁদ শেখ হাসিনা বুঝতে অক্ষম ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মতো নেতা, এমনকি মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে পর্যন্ত ন্যূনতম স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। মুক্তিযুদ্ধকালে দুই সন্তান নিয়ে অপরিমেয় ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। তাকে বানোয়াট মামলায় কারাবন্দি করে, চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে, মৃত্যু কামনা করে সভ্যতার ইতিহাসে প্রতিহিংসার এক নিকৃষ্ট ও কলঙ্কময় অধ্যায় রচনা করা হয়েছে।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, একজনই সব আর কেউ কিছু নয়, এমন স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতা নতুন প্রজন্ম যে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, তা ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর তাদের প্রতিক্রিয়ায় পরিষ্কার হয়ে গেছে। ৯ মাসব্যাপী একটি জনযুদ্ধের মাধ্যমে লাখো মানুষের আত্মত্যাগে যে স্বাধীনতা, তা শুধু একজন ব্যক্তি বা একটি পরিবারের একচ্ছত্র কৃতিত্ব দাবি করার মধ্যে যে এক ধরনের বিকৃত ও অসভ্য মানসিকতার পরিচয় বহন করে, তা গণআন্দোলনের মুখে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচারী শেখ হাসিনাকে কেউ বোঝাতে পারেননি বা সাহস করেননি। অতএব আজ শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি ও ভাস্কর্যে আঘাতের মাধ্যমে তাকে অপমান করা হয়ে থাকলে তার পুরো দায় কন্যা শেখ হাসিনারই। অন্য কারও নয়।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সাবেক সভাপতি, বিএফইউজে

https://channelkhulna.tv/

খোলামত আরও সংবাদ

‘ছাত্ররা আমার কথা শুনলো না, শুনলো ভুট্টো সাহেবের কথা’

প্রিয় মানুষকে অনুকরণ এবং অনুসরণের মাধ্যমে ভালোবাসার প্রকাশ ঘটে

সহনীয় মূল্যে ইলিশ : মডেল উদ্ভাবন

গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী ভিন্ন বাংলাদেশ, ক্রীড়াঙ্গনেও সফলতা

আরেক অর্জন: নিয়ন্ত্রিত হতে যাচ্ছে দ্রব্য মূল্য

পিতার অপমানের দায় কন্যাকেই নিতে হবে

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ কেডিএ এপ্রোচ রোড (টেক্সটাইল মিল মোড়), নিউ মার্কেট, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।