পাইকগাছা উপজেলার ঘোষাল গ্রামে মৃত্যু কওসার গাজীর ছেলে সাকাত গাজী মঙ্গলবার ভোর ৪ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় একটি হাসপাতালে মারা যায়। তার মৃত্যুদেহ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং সাকাত গাজীর ছেলে মামুন মৃত্যুদেহ দাফন করার ব্যাবস্থা করলে তার বোনেরা বাধা দেয়।
জানা গেছে সাকাত গাজী তার পাঁচ কন্যাকে সম্পত্তি ফাঁকি দিয়ে ছেলের নামে সমুদয় সম্পত্তি লিখে দেওয়ায় পিতার মরদেহ দাফন করতে দিচ্ছেন না তার মেয়েরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে মরদেহ দাফনের ব্যবস্থার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।এদিকে একমাত্র ছেলে মামুন পিতার মরদেহ বাড়িতে রেখে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছেন। দুদিন ধরে মরদেহ বাড়ির উঠানে পড়ে রয়েছে। ঘটনাটি উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের ঘোষাল গ্রামে।
জানা গেছে, সাকাত গাজী কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেলে মামুন গাজী পিতাকে নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।সাকাত গাজী হাসপাতালে থাকাকালে সুকৌশলে সকলের অগোচওে মামুন(ছেলে) চুরি করে বিষয় সম্পত্তি লিখে নেয়। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভোর ৪টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান সাকাত গাজী। তার মরদেহ বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৮টায় বাড়িতে নিয়ে আসে। মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফন করার ব্যবস্থা করলে মামুনের পাঁচ বোন মরদেহ দাফনে বাধা দেন। গোসলের সময় মৃত সাকাত গাজীর হাতের বুড়ো আঙুলে টিপ দেওয়ার ছাপ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পুলিশ এলে মামুন তার পরিবার নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।
সাকাত গাজীর ১ ছেলে ৫ মেয়ে ও স্ত্রীকে রেখে গেছেন। সাকাত গাজীর কন্যা লাবনী আক্তার জানান, আমার ভাই আব্বার অসুস্থতার সুযোগে আমাদেরকে না জানিয়ে সমুদয় সম্পত্তি লিখে নিয়েছেন।
ঘোষাল জামে মসজিদের ইমাম বেলাল হোসেন জানান, সাকাত গাজীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে মঙ্গলবার বাদ জোহর জানাজার ঘোষণা দেওয়া হয় কিন্তু মৃতের ৫ কন্যা এসে জনাজা এবং মরদেহ দাফনে বাধা দেওয়ায় মুসল্লিসহ গ্রামবাসী সিদ্ধান্ত নেন যে, মৃত সাকাত গাজী তার মেয়েদের হক নষ্ট করায় জানাজা পড়াবেন না।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শরিক ফাঁকি দেওয়ায় মৃত গাজীর মরদেহ দাফন করতে দিচ্ছে না কন্যারা এমন সংবাদ পেয়ে কন্যাদের সাথে কথা বলে দাফনের জন্য ওসি তদন্তসহ সঙ্গীয় ফোর্স পাঠিয়ে আলোচনার মাধ্যমে মরদেহ দাফনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।