পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ বন্যার পর পিরোজপুরে নদী ও খালের পানি কমলেও, মাঠে থাকা পাকা আউস ধানের ক্ষতির আশংকা করছেন চাষীরা। এছাড়া আমন ধানের রোপনের সময় পিছিয়েছে অন্তত দুই সপ্তাহ। তাই সময়মত আমন ধানের চারা রোপন করতে না পারায় এর নেতিবাচক প্রভাব ফলনের উপর পড়বে বলেও আশংকা তাদের।
বিগত কয়েক দিয়ের টানা বর্ষা ও নদীতে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে পিরোজপুরের ৭টি উপজেলাই প্লাবিত হয়েছে। বঙ্গোপসাগর সন্নিকটে হওয়ায় কঁচা, বলেশ^র, সন্ধ্যা, কালিগঙ্গা, পোনা ও মধুমতি নদী দিয়ে পানি সহজেই ঢুকে পড়েছে নদীপাড়ের গ্রামগুলোতে। এছাড়া বন্যার আগ থেকেই মাঠে পানি বাড়তে থাকায় মাঠে থাকা পাকা আউস ধান সংগ্রহ করতে পারেনি চাষীরা। ফলে পাকা ধান ঝড়ে পড়া সহ সেগুলোর মারাত্মক ক্ষতির আশংকা তাদের। আর অতিরিক্ত পানির কারণে আমন ধানের চারা রোপনও ব্যাহত হয়েছে। কিছু আমনের চারা রোপন করলেও, পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সেগুলো পঁচে যাওয়ার আশংকা কৃষকদের।
তবে নদ-নদীতে পানি কমে গেলেও মাঠে পানি আটকা পড়ায়, এখনও কৃষকরা মাঠ থেকে পুরোদমে আউস ধান সংগ্রহ এবং আমন ধানের চারা রোপন শুরু করতে পারেননি। আউস ধান সংগ্রহ শেষে সেই জমিগুলো প্রস্তুত করে পুনরায় সেখানে আমন ধানের চাড়া রোপন করা হবে।
তবে বন্যার কারণে এ বছর আমনের আবাদ ১৫-২০ দিন পিছিয়ে যাবে বলে ধারণা কৃষকদের। আর এতে ফসলের উৎপাদন কমতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
বন্যার কারণে কৃষকদের ক্ষতির বিষয়টি স্বীকার করেছেন পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চিন্ময় রায় । তবে এ ক্ষতি পুশিয়ে নেওয়ার জন্য কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এ বছরের বন্যায় ধান ছাড়াও পিরোজপুরে অন্যান্য সবজির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
চলতি বছরে পিরোজপুরে ১৭ হাজার ১৩৫ হেক্টর জমিতে আউস ধানের আবাদ হয়েছে। এছাড়া ৬১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে শতকারা ৪০ ভাগেরও কম জমিতে আমনের চারা রোপন সম্পন্ন হয়েছে।