পিরোজপুর প্রতিনিধি :: প্রায় চার বছর পূর্বে দুই নেতাকে দায়িত্ব দিয়ে করা পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শুক্রবার রাতে পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে জানিয়ে এ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন সংগঠনটির শীর্ষ এই দুই নেতা।
২০১৮ সালের ৬ মে মোঃ জাহিদুল ইসলাম টিটু কে সভাপতি এবং অনিরুজ্জামান অনিক কে সাধারণ সম্পাদক করে এক বছরের জন্য পিরোজপুর জেলা কমিটির অনুমোদন দেয় তৎকালীন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। সভাপতি টিটু এবং অনিকের মধ্যেকার দ্বন্দ্বে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি জেলা কমিটি। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে সাধারণ সম্পাদক অনিক একক স্বাক্ষরে সদর উপজেলা কমিটি ঘোষণা করে। এরপর ফেসবুকে সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি সভাপতি টিটু স্বাক্ষরিত একই কমিটির একটি কপি ছড়িয়ে পড়ে। তবে টিটু দাবি করে কমিটিতে তার নামের স্বাক্ষরটি তার নয়। এর পর রাতেই পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
এদিকে দীর্ঘ সময় পরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। তবে আগামীতে কেন্দ্র পিরোজপুরের জন্য একটি দক্ষ কমিটি উপহার দিবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
ছাত্রী লীগের জেলা কমিটিতে পদ প্রত্যাশী এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জুনায়েদ আহম্মেদ রাসেল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জেলা ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ায় ছাত্রনেতাদের মেধার বিকাশ ঘটেনি। তাই পরবর্তীতে কমিটিতে যাতে ত্যাগী, পরিশ্রমী ও মেধাবী ছাত্রদের মূল্যায়ন করা হয় এ দাবি তার।
তবে দীর্ঘ সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে ব্যথ্য হওয়ায় ছাত্রলীগের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে বিঘিœত হয়েছে বলে মনে করেন, পিরোজপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোঃ ইরতিজা হাসান রাজুু।
জেলা ছাত্রলীগের আরেক সাবেক সভাপতি মোঃ মাকসুদুল ইসলাম সিকদার লিটন জানান, স্থানীয় রাজনীতির দ্বন্দ্বের কারণে টিটু এবং অনিক দুই মেরুতে অবস্থান করছিল। এছাড়া দলীয় কিছু কার্যক্রমে আলাদা আলাদাভাবে অংশ নেওয়া ছাড়া তাদের সাংগঠনিক তেমন কোন তৎপরতা ছিল না। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির আরও আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিৎ ছিল বলে মন্তব্য তার। এরপরও কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে এ সময় উপযোগী বলে জানান লিটন।
উল্লেখ্য সদ্য বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সভাপতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম টিটু সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল এর অনুসারী। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর অনুসারী।